শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

হরিণাকুন্ডুতে বিজয় মেলার নামে চলছে উলঙ্গ নাচ ও জুয়া খেলার রমরমা ব্যাবসা !

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ জানুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে হরিণাকুন্ডুতে বিজয় মেলার নামে চলছে উলঙ্গ নাচ ও জুয়া খেলার রমরমা ব্যাবসা ! মুক্তিযোদ্ধার নামে বিজয় মেলা, কিন্তু সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কমিটি নেই। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গয়ে মেলার অনুমতি নিয়ে সেখানে অশ্লিলতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেলার আড়ালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চত্তরের মধ্যেই চলছে জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য। রাত বাড়ার সাথে সাথে যুবতী মেয়েদের গায়ের কাপড়ও কমতে থাকে। এক পর্যায়ে উদোম নৃত্যে বেসামাল হয় যুবসমাজ।
মেলার অনুমতির সময় সেখানে তিনটি সিসি ক্যামেরা ও রাত ১১টার পরে কোন অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনা থাকলেও হরিণাকুন্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের চিহ্নিত জুয়াড়ি বদরুদ্দীন বুদো, আসাদ, ও হাসেম সুস্থ ধারার যাত্রা বা মেলার পরিবর্তে জুয়ার আসর বসিয়ে সারা রাত ধরেই যুবতী মেয়েদের খোলামেলা কাপড়ে নাচাচ্ছেন। এ নিয়ে উঠতি বয়সি যুবকদের মাঝে চরম সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিতে পারে বলে অভিভাবক মহল ব্যাপক শংকিত ও হতাশা গ্রস্থ।
হরিণাকুন্ডুর আবুল হাসেম নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে অভিযোগ করেন, তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে মেলা দেখতে এসে ছেলে মেয়েদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
যারা মেলা দেখতে যাচ্ছেন, তাদের সবারই একই ভাষ্য বিজয় মেলার নামে যা হচ্ছে না অচিরেই বন্ধ করা উচিৎ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক জানান, হরিণাকুন্ডুর ইউএনও সাহেব পরহেজগার মানুষ। তিনি বিজয় মেলাটি উদ্বোধনের পর সেখানে যা হচ্ছে তা আমরা হরিণাকুন্ডুবাসি আশা করিনি।
বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আমি মেলার আয়োজকদের ডেকেছিলাম। তারা আমাকে কথা দিয়েছেন সেখান আর খারাপ কিছু হবে না।
তবে এলাকাবাসির ভাষ্য প্রতি বছর এমন মেলা মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক কল্যানে দেওয়া হলেও মুক্তিযোদ্ধারা কোন উপকৃত হন না। মেলার অনুমতি নিয়ে চিহ্নিত জুয়াড়িদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়। তারা ঘাটে ঘাটে মালপনি দিয়ে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য চালিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে.এম শওকত হোসেনকে শনিবার বিকালে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। মেলার দায়িত্বে থাকা চটকাবাড়িয়া গ্রামের বদরুদ্দীন বুদো বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসন সহ আমরা যেখানে যা দেবার দারকার দিচ্ছি। কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

হরিণাকুন্ডুতে বিজয় মেলার নামে চলছে উলঙ্গ নাচ ও জুয়া খেলার রমরমা ব্যাবসা !

আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ জানুয়ারি ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে হরিণাকুন্ডুতে বিজয় মেলার নামে চলছে উলঙ্গ নাচ ও জুয়া খেলার রমরমা ব্যাবসা ! মুক্তিযোদ্ধার নামে বিজয় মেলা, কিন্তু সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কমিটি নেই। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গয়ে মেলার অনুমতি নিয়ে সেখানে অশ্লিলতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেলার আড়ালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চত্তরের মধ্যেই চলছে জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য। রাত বাড়ার সাথে সাথে যুবতী মেয়েদের গায়ের কাপড়ও কমতে থাকে। এক পর্যায়ে উদোম নৃত্যে বেসামাল হয় যুবসমাজ।
মেলার অনুমতির সময় সেখানে তিনটি সিসি ক্যামেরা ও রাত ১১টার পরে কোন অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনা থাকলেও হরিণাকুন্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের চিহ্নিত জুয়াড়ি বদরুদ্দীন বুদো, আসাদ, ও হাসেম সুস্থ ধারার যাত্রা বা মেলার পরিবর্তে জুয়ার আসর বসিয়ে সারা রাত ধরেই যুবতী মেয়েদের খোলামেলা কাপড়ে নাচাচ্ছেন। এ নিয়ে উঠতি বয়সি যুবকদের মাঝে চরম সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিতে পারে বলে অভিভাবক মহল ব্যাপক শংকিত ও হতাশা গ্রস্থ।
হরিণাকুন্ডুর আবুল হাসেম নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে অভিযোগ করেন, তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে মেলা দেখতে এসে ছেলে মেয়েদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
যারা মেলা দেখতে যাচ্ছেন, তাদের সবারই একই ভাষ্য বিজয় মেলার নামে যা হচ্ছে না অচিরেই বন্ধ করা উচিৎ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক জানান, হরিণাকুন্ডুর ইউএনও সাহেব পরহেজগার মানুষ। তিনি বিজয় মেলাটি উদ্বোধনের পর সেখানে যা হচ্ছে তা আমরা হরিণাকুন্ডুবাসি আশা করিনি।
বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আমি মেলার আয়োজকদের ডেকেছিলাম। তারা আমাকে কথা দিয়েছেন সেখান আর খারাপ কিছু হবে না।
তবে এলাকাবাসির ভাষ্য প্রতি বছর এমন মেলা মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক কল্যানে দেওয়া হলেও মুক্তিযোদ্ধারা কোন উপকৃত হন না। মেলার অনুমতি নিয়ে চিহ্নিত জুয়াড়িদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়। তারা ঘাটে ঘাটে মালপনি দিয়ে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য চালিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে.এম শওকত হোসেনকে শনিবার বিকালে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। মেলার দায়িত্বে থাকা চটকাবাড়িয়া গ্রামের বদরুদ্দীন বুদো বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসন সহ আমরা যেখানে যা দেবার দারকার দিচ্ছি। কোন অসুবিধা হচ্ছে না।