মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

বিএনপি প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ:খালেদা জিয়া !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ।
যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। শারদীয় দুর্গা পূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। এবার দুর্গাপূজার আগেও দেশের বেশকিছু স্থানে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গা পূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য। তিনি বলেন, দুর্গা পূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

বিএনপি প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ:খালেদা জিয়া !

আপডেট সময় : ১১:৪০:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ।
যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। শারদীয় দুর্গা পূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। এবার দুর্গাপূজার আগেও দেশের বেশকিছু স্থানে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গা পূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য। তিনি বলেন, দুর্গা পূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে।