রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

এক লাখ ৫৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি গঙ্গা যমুনা পদ্মার ভাঙনে বিলীন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গত ৪৩ বছরে দেশের প্রধান তিনটি নদী গঙ্গা যমুনা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি। আর জেগেছে ৫৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমি।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) আয়োজনে নদীভাঙনের আগাম সতর্কতা বিষয়ে এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য ও মতামত তুলে ধরেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, সিইজিআইএস দুই বছর ধরে দেশের বড় তিনটি নদী নিয়ে গবেষণা করে পূর্বাভাসব্যবস্থা চালু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও কুড়িগ্রাম, বগুড়া, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর এলাকায় যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর মোট ২৯টি অংশে ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিগত সময়ের তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করে এ গবেষণাভিত্তিক পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ওই অংশগুলোর মধ্যে ৭৫ শতাংশ অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৫০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩০ শতাংশ কম ঝুঁকিপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যেসব অংশে ১০০ মিটারের ওপরে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে কেবল সেগুলোকেই এ গবেষণার আওতায় নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গত বছরের পূর্বাভাসের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছর ২৬টি অংশে ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই সঠিক হয়েছে। এর মধ্যে দুটি এলাকায় ওই পূর্বাভাসকে সামনে রেখে সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল ব্র্যাক।
এতে দেখা গেছে, মানুষ তাদের অনেক সম্পদ নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। ফলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি কমে গেছে।

অনুষ্ঠানে নদীভাঙনের আগাম সতর্কতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিইজিআইএসের উপনির্বাহী পরিচালক ড. মমিনুল হক সরকার। এ ছাড়া বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক এ এম মমিনুল হক, সিইজিআইএসের গবেষক সুদীপ্ত কুমার হোড় এবং ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির (ডিএমসিসি) সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট মো. জাফর ইকবাল পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় মডারেটর ছিলেন ব্র্যাকের ডিএমসিসি কর্মসূচির পরিচালক গওহার নঈম ওয়ারা। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কাবিখা-১) সৈয়দা মেহেরুন নেছা কবীরসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

এক লাখ ৫৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি গঙ্গা যমুনা পদ্মার ভাঙনে বিলীন !

আপডেট সময় : ১০:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গত ৪৩ বছরে দেশের প্রধান তিনটি নদী গঙ্গা যমুনা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি। আর জেগেছে ৫৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমি।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) আয়োজনে নদীভাঙনের আগাম সতর্কতা বিষয়ে এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য ও মতামত তুলে ধরেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, সিইজিআইএস দুই বছর ধরে দেশের বড় তিনটি নদী নিয়ে গবেষণা করে পূর্বাভাসব্যবস্থা চালু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও কুড়িগ্রাম, বগুড়া, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর এলাকায় যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর মোট ২৯টি অংশে ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিগত সময়ের তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করে এ গবেষণাভিত্তিক পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ওই অংশগুলোর মধ্যে ৭৫ শতাংশ অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৫০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩০ শতাংশ কম ঝুঁকিপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যেসব অংশে ১০০ মিটারের ওপরে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে কেবল সেগুলোকেই এ গবেষণার আওতায় নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গত বছরের পূর্বাভাসের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছর ২৬টি অংশে ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই সঠিক হয়েছে। এর মধ্যে দুটি এলাকায় ওই পূর্বাভাসকে সামনে রেখে সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল ব্র্যাক।
এতে দেখা গেছে, মানুষ তাদের অনেক সম্পদ নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। ফলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি কমে গেছে।

অনুষ্ঠানে নদীভাঙনের আগাম সতর্কতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিইজিআইএসের উপনির্বাহী পরিচালক ড. মমিনুল হক সরকার। এ ছাড়া বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক এ এম মমিনুল হক, সিইজিআইএসের গবেষক সুদীপ্ত কুমার হোড় এবং ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির (ডিএমসিসি) সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট মো. জাফর ইকবাল পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় মডারেটর ছিলেন ব্র্যাকের ডিএমসিসি কর্মসূচির পরিচালক গওহার নঈম ওয়ারা। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কাবিখা-১) সৈয়দা মেহেরুন নেছা কবীরসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।