শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপে ভাঙা বেড়িবাঁধ ৫ বছরেও জোড়া লাগেনি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ৫ বছর ধরে ভাঙা বেড়িবাঁধ ও সড়ক সংস্কারবিহীন রয়েছে। ফলে এ দ্বীপের ৩৫ হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আমাদের কি দেখার বাংলাদেশ সরকারের কেউ নেই? এলাকাবাসীর যোগাযোগ করতে হচ্ছে নৌকায় করে। আর এ নৌকা পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানিও। ২০১২ সালের ২২ জুলাই সাগরের জোয়ারে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া বেড়িবাঁধে ভাঙন হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হয়। এরপর থেকে ৫ টি বছর ধরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করছে পানি। এতে হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত বিশাল এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ওই সময় জোয়ারের পানিতে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ পাকা সড়কটির ৫ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে দ্বীপবাসীকে দুর্ভোগ নিয়ে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। তাদের দুইবার নৌকায় ও হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে কয়েকগুণ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপের দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে ভাঙন ঠেকাতে প্রায় শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি।
শাহপরীরদ্বীপ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাষ্টার জাহিদ হোসন জানান, শাহপরীরদ্বীপের বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভাঙার কারণে ৫টি বছর ধরে মানুষ কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছে। প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে দ্বীপটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বেড়িবাঁধে শত কোটি টাকা খরচ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। গত ৪ বছর আগে ৩ সেপ্টেম্বর উখিয়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীরদ্বীপ ভাঙা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কাজ হয়নি। এর পরে মাহে রমজানে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শাহরীরদ্বীপের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় বর্ষার আগে ভাঙা বাঁধের নিমার্ণ কাজ শুরু হবে বলেও এখন পর্যন্ত দ্বীপবাসী আশায়তে থেকে গেছে।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, ৫ টি বছর ধরে দ্বীপের জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। শাহপরীরদ্বীপের বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখন বর্ষা হতে না হতে শত-শত বাড়িঘর সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এদিকে পাউবো কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করে শুধু ভাঙন এলাকায় রিং বাঁধ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে। তা আমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙা বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য সরকার ১০৬ কোটি টাকার বরাদ্ধ করার কথা বার বার জনসভায় বলে আসলেও সেই বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে বাঁধ হচ্ছে না কেন শাহপরীরদ্বী বাসীর প্রশ্ন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপে ভাঙা বেড়িবাঁধ ৫ বছরেও জোড়া লাগেনি

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ৫ বছর ধরে ভাঙা বেড়িবাঁধ ও সড়ক সংস্কারবিহীন রয়েছে। ফলে এ দ্বীপের ৩৫ হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আমাদের কি দেখার বাংলাদেশ সরকারের কেউ নেই? এলাকাবাসীর যোগাযোগ করতে হচ্ছে নৌকায় করে। আর এ নৌকা পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানিও। ২০১২ সালের ২২ জুলাই সাগরের জোয়ারে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া বেড়িবাঁধে ভাঙন হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হয়। এরপর থেকে ৫ টি বছর ধরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করছে পানি। এতে হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত বিশাল এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ওই সময় জোয়ারের পানিতে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ পাকা সড়কটির ৫ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে দ্বীপবাসীকে দুর্ভোগ নিয়ে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। তাদের দুইবার নৌকায় ও হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে কয়েকগুণ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপের দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে ভাঙন ঠেকাতে প্রায় শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি।
শাহপরীরদ্বীপ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাষ্টার জাহিদ হোসন জানান, শাহপরীরদ্বীপের বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভাঙার কারণে ৫টি বছর ধরে মানুষ কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছে। প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে দ্বীপটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বেড়িবাঁধে শত কোটি টাকা খরচ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। গত ৪ বছর আগে ৩ সেপ্টেম্বর উখিয়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীরদ্বীপ ভাঙা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কাজ হয়নি। এর পরে মাহে রমজানে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শাহরীরদ্বীপের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় বর্ষার আগে ভাঙা বাঁধের নিমার্ণ কাজ শুরু হবে বলেও এখন পর্যন্ত দ্বীপবাসী আশায়তে থেকে গেছে।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, ৫ টি বছর ধরে দ্বীপের জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। শাহপরীরদ্বীপের বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখন বর্ষা হতে না হতে শত-শত বাড়িঘর সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এদিকে পাউবো কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করে শুধু ভাঙন এলাকায় রিং বাঁধ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে। তা আমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙা বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য সরকার ১০৬ কোটি টাকার বরাদ্ধ করার কথা বার বার জনসভায় বলে আসলেও সেই বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে বাঁধ হচ্ছে না কেন শাহপরীরদ্বী বাসীর প্রশ্ন।