শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি !

  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন র‌্যাম্প মডেল ও অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজের। গত সোমবার এ আত্মহত্যার ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন আরেক মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। এসময় তিনি আত্মহত্যার কিছু খারাপ দিক এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পরামর্শ দেন। নিজের মধ্যে এক সময় আত্মহত্যার উপলব্ধি হয়েছিল এই কথা বলে সেখান বেরিয়ে এসে কীভাবে এখন সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন সেটাও তার ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করেন। ৩০ মিনিটব্যাপী এই ফেসবুক লাইফে তিনি মূলত হতাশাবাদীদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন বা আশা দেখাতে চেয়েছেন।

শুরুটা করেছিলেন মডেল রিসিলকে নিয়েই। তিনি বলেন,’ রিসালা আমার জানা মতে বিনয়ী ও ভদ্র একটা মেয়ে ছিল। তার একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছিল। এখন সেই মেয়েটার কি হবে?’ তিনি বলেন, ‘কারও কারণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে এটা কি ঠিক? তাহলে এখন তার বাচ্চাটা কাকে মা বলে ডাকবে?’

ভক্তদের কাছে প্রশ্ন রেখে ফারিয়া শাহরিন আরও বলেন, ‘আমার নিজের হাতে নিজের জীবনটা নষ্ট করতে হবে, হতাশায় বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কী? একটা সময় আমারও মনে হতো, কিন্তু সেটা বাজে চিন্তা। কারণ আমাদের মা-বাবা এতো কষ্ট করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসলো তাদের কথা একবারও ভাববো না? সমাজের কারও কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে আমরা ভাবি, এই জীবন রেখে কি হবে? কিন্তু কেন আমাদের এই সিদ্ধন্ত নিতে হবে? যাদের হাত নেই, পা নেই কিংবা হাত না থাকার কারণে তারা পা দিয়ে লিখেও পরীক্ষা দেন; সমাজে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। আর যারা অন্ধ, তারাও অন্ধদের জন্য স্পেশাল স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করছেন; কারণ তারাও বাঁচাতে চান। ‘

তিনি বলেন, মিডিয়াতে আসার কয়েক বছর পর একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক (প্রেম) ছিল। প্রথম দিকে সম্পর্ক ভালো গেলেও পরে ভালো যায়নি। সে (প্রেমিক) মানসিক টর্চার করতো। পরীক্ষার সময় পড়তে দিতো না। আমার বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল যে আমি ব্যারিস্টার হব। সে আমাকে পরীক্ষার আগে পড়তে দিত না। আমি লন্ডন যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার কারণে যেতে পারিনি। সে আমার ফেসবুক হ্যাক করে রেখেছিল। কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তখন আমার মনে হত এই জীবন রেখে কি লাভ? তার চেয়ে আত্মহত্যা করি। ’

তিনি বলেন, সেই ঘটনার পরও কিন্তু আমার জীবন থেমে নেই। আবার যে আমার জীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারও জীবনও কিন্তু থেমে নেই। তাহলে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? একজনের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করতে কেন? দেখবেন ভালো ছেলে কিংবা মেয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আর আপনি আত্মহত্যা করলে সে দুইদিন চোখের পানি ফেলবে, তিনদিন পরে আবার আরেকজনের সাথে রিলেশন করবে। তাহলে তার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়ে আপনার কী লাভ হলো? আপনার বাবা-মা যে এতো কষ্ট করে বড় করলেন, তাদের কি আপনি কিছু দিতে পারলেন?’

লাক্সতারকা ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবার মিডিয়ার অনেক মানুষ আমাকে অনেকভাবে অপমানিত করেছে। কারণ তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেতাম না। আমাকে এভাবে অপমান করা হতো। আমাকে অনেক বড় বড় আয়োজন থেকে বাদ থেকে দেয়া হয়েছে। সোজা বাংলায় এর কারণ হচ্ছে, আমি খারাপ কাজ করতে পারিনি। কিন্তু দিন শেষে আমাকে শুনতে হয় মিডিয়ার মানুষ নষ্ট। ‘

বাংলালিংকের ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে ফারিয়া মিডিয়াতে পা রাখেন। এ বিজ্ঞাপনটির মডেল হয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন এই  লাক্স-তারকা। এরপর অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত হননি। তবে ফারিয়া প্রথম সামিয়া জামানের ‘আকাশ কত দূরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই ফারিয়া দর্শকদের নজরে আসনে। তবে ফারিয়াকে পরবর্তীতে খুব একটা অভিনয়ে পাওয়া যায়নি। আর তার কারণ হলো পড়াশোনার পাশাপাশি বেছে বেছে কাজ করা। শেষমেষ তিনিও পড়াশোনা করতে চলে গেলেন মালয়েশিয়াতে। সেখানে তিনি মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। গত বছর দেশে এসে অভিনয়ে ফিরলেও তিনি আবার চলে যান মালয়েশিয়া।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি !

আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন র‌্যাম্প মডেল ও অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজের। গত সোমবার এ আত্মহত্যার ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন আরেক মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। এসময় তিনি আত্মহত্যার কিছু খারাপ দিক এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পরামর্শ দেন। নিজের মধ্যে এক সময় আত্মহত্যার উপলব্ধি হয়েছিল এই কথা বলে সেখান বেরিয়ে এসে কীভাবে এখন সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন সেটাও তার ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করেন। ৩০ মিনিটব্যাপী এই ফেসবুক লাইফে তিনি মূলত হতাশাবাদীদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন বা আশা দেখাতে চেয়েছেন।

শুরুটা করেছিলেন মডেল রিসিলকে নিয়েই। তিনি বলেন,’ রিসালা আমার জানা মতে বিনয়ী ও ভদ্র একটা মেয়ে ছিল। তার একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছিল। এখন সেই মেয়েটার কি হবে?’ তিনি বলেন, ‘কারও কারণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে এটা কি ঠিক? তাহলে এখন তার বাচ্চাটা কাকে মা বলে ডাকবে?’

ভক্তদের কাছে প্রশ্ন রেখে ফারিয়া শাহরিন আরও বলেন, ‘আমার নিজের হাতে নিজের জীবনটা নষ্ট করতে হবে, হতাশায় বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কী? একটা সময় আমারও মনে হতো, কিন্তু সেটা বাজে চিন্তা। কারণ আমাদের মা-বাবা এতো কষ্ট করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসলো তাদের কথা একবারও ভাববো না? সমাজের কারও কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে আমরা ভাবি, এই জীবন রেখে কি হবে? কিন্তু কেন আমাদের এই সিদ্ধন্ত নিতে হবে? যাদের হাত নেই, পা নেই কিংবা হাত না থাকার কারণে তারা পা দিয়ে লিখেও পরীক্ষা দেন; সমাজে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। আর যারা অন্ধ, তারাও অন্ধদের জন্য স্পেশাল স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করছেন; কারণ তারাও বাঁচাতে চান। ‘

তিনি বলেন, মিডিয়াতে আসার কয়েক বছর পর একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক (প্রেম) ছিল। প্রথম দিকে সম্পর্ক ভালো গেলেও পরে ভালো যায়নি। সে (প্রেমিক) মানসিক টর্চার করতো। পরীক্ষার সময় পড়তে দিতো না। আমার বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল যে আমি ব্যারিস্টার হব। সে আমাকে পরীক্ষার আগে পড়তে দিত না। আমি লন্ডন যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার কারণে যেতে পারিনি। সে আমার ফেসবুক হ্যাক করে রেখেছিল। কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তখন আমার মনে হত এই জীবন রেখে কি লাভ? তার চেয়ে আত্মহত্যা করি। ’

তিনি বলেন, সেই ঘটনার পরও কিন্তু আমার জীবন থেমে নেই। আবার যে আমার জীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারও জীবনও কিন্তু থেমে নেই। তাহলে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? একজনের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করতে কেন? দেখবেন ভালো ছেলে কিংবা মেয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আর আপনি আত্মহত্যা করলে সে দুইদিন চোখের পানি ফেলবে, তিনদিন পরে আবার আরেকজনের সাথে রিলেশন করবে। তাহলে তার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়ে আপনার কী লাভ হলো? আপনার বাবা-মা যে এতো কষ্ট করে বড় করলেন, তাদের কি আপনি কিছু দিতে পারলেন?’

লাক্সতারকা ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবার মিডিয়ার অনেক মানুষ আমাকে অনেকভাবে অপমানিত করেছে। কারণ তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেতাম না। আমাকে এভাবে অপমান করা হতো। আমাকে অনেক বড় বড় আয়োজন থেকে বাদ থেকে দেয়া হয়েছে। সোজা বাংলায় এর কারণ হচ্ছে, আমি খারাপ কাজ করতে পারিনি। কিন্তু দিন শেষে আমাকে শুনতে হয় মিডিয়ার মানুষ নষ্ট। ‘

বাংলালিংকের ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে ফারিয়া মিডিয়াতে পা রাখেন। এ বিজ্ঞাপনটির মডেল হয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন এই  লাক্স-তারকা। এরপর অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত হননি। তবে ফারিয়া প্রথম সামিয়া জামানের ‘আকাশ কত দূরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই ফারিয়া দর্শকদের নজরে আসনে। তবে ফারিয়াকে পরবর্তীতে খুব একটা অভিনয়ে পাওয়া যায়নি। আর তার কারণ হলো পড়াশোনার পাশাপাশি বেছে বেছে কাজ করা। শেষমেষ তিনিও পড়াশোনা করতে চলে গেলেন মালয়েশিয়াতে। সেখানে তিনি মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। গত বছর দেশে এসে অভিনয়ে ফিরলেও তিনি আবার চলে যান মালয়েশিয়া।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন