শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শেরপুর কলেজ ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি;খাদ্য কর্মকর্তা লাপাত্তা, ফুসে উঠেছে ব্যবসায়ী সমাজ Logo নিম্নমানের খাতা বিতরণে ক্ষোভ প্রতিবাদ করায় অপপ্রচারের শিকার শিক্ষক Logo সিরাজগঞ্জে জাপানি প্রকল্পের মালামাল চুরি যেন রুটিন ঘটনা Logo চাঁদপুর জেলা জাসাসের মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের উত্থান আর এই বাংলার মাটিতে হবেনা ………শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo সাজিদের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি, শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনার জামায়াত নেতা নিহত Logo আজ গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ

তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি !

  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন র‌্যাম্প মডেল ও অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজের। গত সোমবার এ আত্মহত্যার ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন আরেক মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। এসময় তিনি আত্মহত্যার কিছু খারাপ দিক এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পরামর্শ দেন। নিজের মধ্যে এক সময় আত্মহত্যার উপলব্ধি হয়েছিল এই কথা বলে সেখান বেরিয়ে এসে কীভাবে এখন সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন সেটাও তার ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করেন। ৩০ মিনিটব্যাপী এই ফেসবুক লাইফে তিনি মূলত হতাশাবাদীদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন বা আশা দেখাতে চেয়েছেন।

শুরুটা করেছিলেন মডেল রিসিলকে নিয়েই। তিনি বলেন,’ রিসালা আমার জানা মতে বিনয়ী ও ভদ্র একটা মেয়ে ছিল। তার একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছিল। এখন সেই মেয়েটার কি হবে?’ তিনি বলেন, ‘কারও কারণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে এটা কি ঠিক? তাহলে এখন তার বাচ্চাটা কাকে মা বলে ডাকবে?’

ভক্তদের কাছে প্রশ্ন রেখে ফারিয়া শাহরিন আরও বলেন, ‘আমার নিজের হাতে নিজের জীবনটা নষ্ট করতে হবে, হতাশায় বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কী? একটা সময় আমারও মনে হতো, কিন্তু সেটা বাজে চিন্তা। কারণ আমাদের মা-বাবা এতো কষ্ট করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসলো তাদের কথা একবারও ভাববো না? সমাজের কারও কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে আমরা ভাবি, এই জীবন রেখে কি হবে? কিন্তু কেন আমাদের এই সিদ্ধন্ত নিতে হবে? যাদের হাত নেই, পা নেই কিংবা হাত না থাকার কারণে তারা পা দিয়ে লিখেও পরীক্ষা দেন; সমাজে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। আর যারা অন্ধ, তারাও অন্ধদের জন্য স্পেশাল স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করছেন; কারণ তারাও বাঁচাতে চান। ‘

তিনি বলেন, মিডিয়াতে আসার কয়েক বছর পর একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক (প্রেম) ছিল। প্রথম দিকে সম্পর্ক ভালো গেলেও পরে ভালো যায়নি। সে (প্রেমিক) মানসিক টর্চার করতো। পরীক্ষার সময় পড়তে দিতো না। আমার বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল যে আমি ব্যারিস্টার হব। সে আমাকে পরীক্ষার আগে পড়তে দিত না। আমি লন্ডন যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার কারণে যেতে পারিনি। সে আমার ফেসবুক হ্যাক করে রেখেছিল। কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তখন আমার মনে হত এই জীবন রেখে কি লাভ? তার চেয়ে আত্মহত্যা করি। ’

তিনি বলেন, সেই ঘটনার পরও কিন্তু আমার জীবন থেমে নেই। আবার যে আমার জীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারও জীবনও কিন্তু থেমে নেই। তাহলে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? একজনের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করতে কেন? দেখবেন ভালো ছেলে কিংবা মেয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আর আপনি আত্মহত্যা করলে সে দুইদিন চোখের পানি ফেলবে, তিনদিন পরে আবার আরেকজনের সাথে রিলেশন করবে। তাহলে তার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়ে আপনার কী লাভ হলো? আপনার বাবা-মা যে এতো কষ্ট করে বড় করলেন, তাদের কি আপনি কিছু দিতে পারলেন?’

লাক্সতারকা ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবার মিডিয়ার অনেক মানুষ আমাকে অনেকভাবে অপমানিত করেছে। কারণ তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেতাম না। আমাকে এভাবে অপমান করা হতো। আমাকে অনেক বড় বড় আয়োজন থেকে বাদ থেকে দেয়া হয়েছে। সোজা বাংলায় এর কারণ হচ্ছে, আমি খারাপ কাজ করতে পারিনি। কিন্তু দিন শেষে আমাকে শুনতে হয় মিডিয়ার মানুষ নষ্ট। ‘

বাংলালিংকের ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে ফারিয়া মিডিয়াতে পা রাখেন। এ বিজ্ঞাপনটির মডেল হয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন এই  লাক্স-তারকা। এরপর অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত হননি। তবে ফারিয়া প্রথম সামিয়া জামানের ‘আকাশ কত দূরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই ফারিয়া দর্শকদের নজরে আসনে। তবে ফারিয়াকে পরবর্তীতে খুব একটা অভিনয়ে পাওয়া যায়নি। আর তার কারণ হলো পড়াশোনার পাশাপাশি বেছে বেছে কাজ করা। শেষমেষ তিনিও পড়াশোনা করতে চলে গেলেন মালয়েশিয়াতে। সেখানে তিনি মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। গত বছর দেশে এসে অভিনয়ে ফিরলেও তিনি আবার চলে যান মালয়েশিয়া।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শেরপুর কলেজ ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি !

আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন র‌্যাম্প মডেল ও অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজের। গত সোমবার এ আত্মহত্যার ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন আরেক মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। এসময় তিনি আত্মহত্যার কিছু খারাপ দিক এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পরামর্শ দেন। নিজের মধ্যে এক সময় আত্মহত্যার উপলব্ধি হয়েছিল এই কথা বলে সেখান বেরিয়ে এসে কীভাবে এখন সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন সেটাও তার ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করেন। ৩০ মিনিটব্যাপী এই ফেসবুক লাইফে তিনি মূলত হতাশাবাদীদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন বা আশা দেখাতে চেয়েছেন।

শুরুটা করেছিলেন মডেল রিসিলকে নিয়েই। তিনি বলেন,’ রিসালা আমার জানা মতে বিনয়ী ও ভদ্র একটা মেয়ে ছিল। তার একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছিল। এখন সেই মেয়েটার কি হবে?’ তিনি বলেন, ‘কারও কারণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে এটা কি ঠিক? তাহলে এখন তার বাচ্চাটা কাকে মা বলে ডাকবে?’

ভক্তদের কাছে প্রশ্ন রেখে ফারিয়া শাহরিন আরও বলেন, ‘আমার নিজের হাতে নিজের জীবনটা নষ্ট করতে হবে, হতাশায় বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কী? একটা সময় আমারও মনে হতো, কিন্তু সেটা বাজে চিন্তা। কারণ আমাদের মা-বাবা এতো কষ্ট করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসলো তাদের কথা একবারও ভাববো না? সমাজের কারও কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে আমরা ভাবি, এই জীবন রেখে কি হবে? কিন্তু কেন আমাদের এই সিদ্ধন্ত নিতে হবে? যাদের হাত নেই, পা নেই কিংবা হাত না থাকার কারণে তারা পা দিয়ে লিখেও পরীক্ষা দেন; সমাজে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন। আর যারা অন্ধ, তারাও অন্ধদের জন্য স্পেশাল স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করছেন; কারণ তারাও বাঁচাতে চান। ‘

তিনি বলেন, মিডিয়াতে আসার কয়েক বছর পর একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক (প্রেম) ছিল। প্রথম দিকে সম্পর্ক ভালো গেলেও পরে ভালো যায়নি। সে (প্রেমিক) মানসিক টর্চার করতো। পরীক্ষার সময় পড়তে দিতো না। আমার বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল যে আমি ব্যারিস্টার হব। সে আমাকে পরীক্ষার আগে পড়তে দিত না। আমি লন্ডন যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার কারণে যেতে পারিনি। সে আমার ফেসবুক হ্যাক করে রেখেছিল। কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তখন আমার মনে হত এই জীবন রেখে কি লাভ? তার চেয়ে আত্মহত্যা করি। ’

তিনি বলেন, সেই ঘটনার পরও কিন্তু আমার জীবন থেমে নেই। আবার যে আমার জীবন ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারও জীবনও কিন্তু থেমে নেই। তাহলে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? একজনের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করতে কেন? দেখবেন ভালো ছেলে কিংবা মেয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আর আপনি আত্মহত্যা করলে সে দুইদিন চোখের পানি ফেলবে, তিনদিন পরে আবার আরেকজনের সাথে রিলেশন করবে। তাহলে তার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়ে আপনার কী লাভ হলো? আপনার বাবা-মা যে এতো কষ্ট করে বড় করলেন, তাদের কি আপনি কিছু দিতে পারলেন?’

লাক্সতারকা ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবার মিডিয়ার অনেক মানুষ আমাকে অনেকভাবে অপমানিত করেছে। কারণ তাদের নোংরা প্রস্তাব মেনে নেইনি, খারাপ কিছু করতে পারিনি। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেতাম না। আমাকে এভাবে অপমান করা হতো। আমাকে অনেক বড় বড় আয়োজন থেকে বাদ থেকে দেয়া হয়েছে। সোজা বাংলায় এর কারণ হচ্ছে, আমি খারাপ কাজ করতে পারিনি। কিন্তু দিন শেষে আমাকে শুনতে হয় মিডিয়ার মানুষ নষ্ট। ‘

বাংলালিংকের ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে ফারিয়া মিডিয়াতে পা রাখেন। এ বিজ্ঞাপনটির মডেল হয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন এই  লাক্স-তারকা। এরপর অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত হননি। তবে ফারিয়া প্রথম সামিয়া জামানের ‘আকাশ কত দূরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই ফারিয়া দর্শকদের নজরে আসনে। তবে ফারিয়াকে পরবর্তীতে খুব একটা অভিনয়ে পাওয়া যায়নি। আর তার কারণ হলো পড়াশোনার পাশাপাশি বেছে বেছে কাজ করা। শেষমেষ তিনিও পড়াশোনা করতে চলে গেলেন মালয়েশিয়াতে। সেখানে তিনি মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। গত বছর দেশে এসে অভিনয়ে ফিরলেও তিনি আবার চলে যান মালয়েশিয়া।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন