নিউজ ডেস্ক:
শ্যালিকা সাদিয়া আক্তার (৬)কে হত্যা ও স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে কুপিয়ে আহত করার পর আত্মহত্যা করেছে সজিব হোসেন (২৯) নামক এক ব্যক্তি। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পুরানপাড়া স্কুল এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতের যে কোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
আহত সুমাইয়াকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সুমাইয়া পুলিশকে জানান, সজিব তাদের দুই বোনকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে সজীব তাকে কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয় শিশু সাদিয়া। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সাদিয়ার লাশ পুকুরে ফেলে সজিব আত্মহত্যা করে।
সজিব পেশায় ভ্যান চালক। স্ত্রী সুমাইয়া বরিশাল টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক। সজিবের বাড়ি জেলার উজিরপুর উপজেলার উত্তর ধামুরা এলাকায়। সজীবের শ্বশুড়বাড়িও একই গ্রামে। সজিবের শ্বশুরের পরিবার কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বসবাস করে।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার না খেয়ে সজিব স্ত্রী সুমাইয়া ও শ্যালিকা সাদিয়াকে নিয়ে ঘরের পাশে বাগানে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত তারা বাসায় ফিরে না আসায় তার শাশুড়ি পারুল বেগম তাদের খোঁজ করতে বাইরে যান। পরে দেখেন সাদিয়ার লাশ পুকুরে ভাসছে এবং পুকুর পাড়ে চালতা গাছের সাথে ঝুলছে জামাই সজিবের লাশ। এ সময় সুমাইয়াকে পুকুরের ঘাটলায় আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।