বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক ৭ নেতা খালাস !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি অফিসের সামনে ১৮ বছর আগে নগর ছাত্রদল নেতা গোলাম সরওয়ারকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যার ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেখসুর খালাস পেয়েছেন একই সংগঠনের তৎকালীন সাত নেতা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো. রহুল আমিন এই রায় দেন। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, নগর ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সাহেদ আকবর, ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিংকু দাশ, আলাউদ্দিন, নাসিরউদ্দিন, অরূপ বড়ুয়া এবং রাজা প্রকাশ আজিম উদ্দিন।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সাক্ষীদের সাক্ষ্যে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত সবাইকে  বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্ত যুবদল নেতা সাহেদ আকবর বলেন, আমরা নোমান গ্রুপ করতাম বলে আমাদের ফাঁসানো হয়েছিল। আমাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনও করা হয়েছিল। আজ সত্যটাই প্রকাশ পেয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৮ মার্চ রাত ৮টার দিকে নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল নেতা গোলাম সরওয়ার গুলিবিদ্ধ হন। চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় তার মা মেহেরুন্নেছা বাদি হয়ে ছাত্রদলের নেতাদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০০১ সালের ১৬ মার্চ পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ চারজনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গোলাম সরওয়ার ছিলেন তৎকালীন মহানগর বিএনপির সভাপতি মীর মো. নাছির উদ্দিনের অনুসারী। আসামিরা সবাই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের অনুসারী ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক ৭ নেতা খালাস !

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি অফিসের সামনে ১৮ বছর আগে নগর ছাত্রদল নেতা গোলাম সরওয়ারকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যার ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেখসুর খালাস পেয়েছেন একই সংগঠনের তৎকালীন সাত নেতা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো. রহুল আমিন এই রায় দেন। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, নগর ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সাহেদ আকবর, ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিংকু দাশ, আলাউদ্দিন, নাসিরউদ্দিন, অরূপ বড়ুয়া এবং রাজা প্রকাশ আজিম উদ্দিন।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সাক্ষীদের সাক্ষ্যে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত সবাইকে  বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্ত যুবদল নেতা সাহেদ আকবর বলেন, আমরা নোমান গ্রুপ করতাম বলে আমাদের ফাঁসানো হয়েছিল। আমাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনও করা হয়েছিল। আজ সত্যটাই প্রকাশ পেয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৮ মার্চ রাত ৮টার দিকে নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল নেতা গোলাম সরওয়ার গুলিবিদ্ধ হন। চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় তার মা মেহেরুন্নেছা বাদি হয়ে ছাত্রদলের নেতাদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০০১ সালের ১৬ মার্চ পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ চারজনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গোলাম সরওয়ার ছিলেন তৎকালীন মহানগর বিএনপির সভাপতি মীর মো. নাছির উদ্দিনের অনুসারী। আসামিরা সবাই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের অনুসারী ছিলেন।