শিরোনাম :
Logo আপনি কি নিঃস্বার্থ নাকি স্বার্থপর? Logo বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ মত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo সাতক্ষীরায় নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে পরিচিতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে দুই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ Logo কচুয়ায় বড়দৈল গ্রামে মাদক বিরোধী গনমিছিল ও আলোচনা সভা! Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির সাংবাদিকতা বিভাগে নবীনবরণ ! Logo চাঁদপুর বড় স্টেশনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপি’র সেক্রেটারি সহ আহত ৩ : আটক-২ Logo চাঁদপুর সদরে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ! Logo জাকসু নির্বাচনের মনোনয়পত্র সংগ্রহ, বাড়লো সময়

রামগতি ও কমলনগরের ৪টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার লোক পানিবন্দী

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

ডুবেগেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন,তলিয়ে গেছে মাছের ঘের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ  গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। স্থানীয়  কিছু প্রভাবশালীরা ভুলুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কারনে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।
জেলার রামগতির মেঘনা সংলগ্ন ভুলুয়া নদীতে বিভিন্ন স্থানে ৯টি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, চরপোড়াগাছা, চরবাদাম ও চরমটুয়া সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে শতাধিক মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচল করছে এসব পানিবন্দী মানুষ। ঘর-বাড়ী ডুবে যাওয়ায় গবাধি পশু নিয়ে বিপাকে তারা। অন্যত্রে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। গবাদী পশু, পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী ৪ ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী শত শত মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী জানান, অতি শীর্ঘই যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব বাঁধ অপসারণ করে জলাবদ্ধতা দুরীকরণের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
অসাধু ও প্রভাবশালীদের মাছ ধরার বাঁধ কেটে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন করে ৩০ হাজার পানিবন্দী মানুষের মানবেতর জীবন-যাপন থেকে রক্ষা করবে। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আপনি কি নিঃস্বার্থ নাকি স্বার্থপর?

রামগতি ও কমলনগরের ৪টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার লোক পানিবন্দী

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭

ডুবেগেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন,তলিয়ে গেছে মাছের ঘের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ  গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। স্থানীয়  কিছু প্রভাবশালীরা ভুলুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কারনে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।
জেলার রামগতির মেঘনা সংলগ্ন ভুলুয়া নদীতে বিভিন্ন স্থানে ৯টি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, চরপোড়াগাছা, চরবাদাম ও চরমটুয়া সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে শতাধিক মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচল করছে এসব পানিবন্দী মানুষ। ঘর-বাড়ী ডুবে যাওয়ায় গবাধি পশু নিয়ে বিপাকে তারা। অন্যত্রে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। গবাদী পশু, পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী ৪ ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী শত শত মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী জানান, অতি শীর্ঘই যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব বাঁধ অপসারণ করে জলাবদ্ধতা দুরীকরণের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
অসাধু ও প্রভাবশালীদের মাছ ধরার বাঁধ কেটে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন করে ৩০ হাজার পানিবন্দী মানুষের মানবেতর জীবন-যাপন থেকে রক্ষা করবে। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।