শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

দেবরের সামনে কি পর্দা করতে হবে ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • ৮০৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : আমার বাসায় আমি, আমার স্বামী, আমার দুই দেবর (বয়স ২৮ ও ২৫ বছর) থাকি। আমার প্রশ্ন হলো, তাঁরা নামাজ পড়ে না এবং তাঁদের সামনে আমাকে যেতে হয়। এসব করলে আমার গুনাহ হবে কি?

উত্তর : নামাজ পড়েন না, এমনটা তাঁদের বড় ধরনের আপরাধ। তাঁরা বড় ধরনের গুনাহ করছেন। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সালাত ত্যাগ করা কুফরি কাজ। তাই এই কুফরির কারণে অপরাধী তাঁরা।

তাঁদের সামনে আপনি যাচ্ছেন, এটিও আপনার জন্য জায়েজ নেই। কারণ, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, দেবরের ব্যাপারে কী বক্তব্য? কারণ পরিবারের মধ্যে দেবরকে মূলত কাছাকাছি মনে করা হয়। আমাদের স্বাভাবিক সমাজের মধ্যে দেবরের সঙ্গে ওঠা-বসাটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে মনে হয় এখানে পর্দার কোনো বিধান নেই। এ জন্য বিশেষভাবে আল্লাহর নবীকে (সা.) প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ‘দেবরের ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?’ যেহেতু দেবরের বিষয়টি তখনকার সময় থেকে আরম্ভ করে খুবই নিবিড় বিষয় ছিল। দেবরকে মনে করা হতো যে ছোট ভাই। স্বামীর ছোট ভাই, সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব কম দেওয়া হতো। কিন্তু আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘দেবরের কথা বলছ? দেবর হচ্ছে একেবারেই মৃত্যুর সমতুল্য।’ সুতরাং মৃত্যু থেকে মানুষ যেমন সব সময় আশঙ্কা করে এবং সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করে, মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে যে, মৃত্যুর কথা শুনলেই সেখানে যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহর নবী (সা.) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি মৃত্যুর সমতুল্য। তাই এটি ভয়ংকর বিষয়। এখানে তো পর্দা করতেই হবে; বরং আরো বেশি পর্দা করতে হবে, যেহেতু আল্লাহর নবী (সা.) বলে দিয়েছেন যে, এটি হলো মৃত্যুর বিষয়।

আসলেই তাই। আপনি যদি দেখেন, বেশির ভাগ পারিবারিক অপরাধগুলো হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ যে অনাচারগুলো হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশই দেখা গিয়েছে ভাবী-দেবর সম্পর্কের মধ্যে। তাই এটি ইসলামী বিধানে একেবারেই নিষিদ্ধ কাজ, হারাম কাজ, কোনোভাবেই আপনার জন্য জায়েজ নেই যে, আপনি দেবরদের সামনে যাবেন। কিন্তু যদি দেবররা আপনার বাসায় থাকে, তাহলে পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে তাঁরাও আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে, তাঁদের সহযোগিতা করতে পারেন বা তাঁরাও আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম আপনাকে যেভাবে পর্দা দিয়েছে সেই পর্দার মধ্যে থেকে সেটা করতে হবে। অন্যথায় সব সময় এটি কবিরা গুনাহ হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

দেবরের সামনে কি পর্দা করতে হবে ?

আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : আমার বাসায় আমি, আমার স্বামী, আমার দুই দেবর (বয়স ২৮ ও ২৫ বছর) থাকি। আমার প্রশ্ন হলো, তাঁরা নামাজ পড়ে না এবং তাঁদের সামনে আমাকে যেতে হয়। এসব করলে আমার গুনাহ হবে কি?

উত্তর : নামাজ পড়েন না, এমনটা তাঁদের বড় ধরনের আপরাধ। তাঁরা বড় ধরনের গুনাহ করছেন। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সালাত ত্যাগ করা কুফরি কাজ। তাই এই কুফরির কারণে অপরাধী তাঁরা।

তাঁদের সামনে আপনি যাচ্ছেন, এটিও আপনার জন্য জায়েজ নেই। কারণ, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, দেবরের ব্যাপারে কী বক্তব্য? কারণ পরিবারের মধ্যে দেবরকে মূলত কাছাকাছি মনে করা হয়। আমাদের স্বাভাবিক সমাজের মধ্যে দেবরের সঙ্গে ওঠা-বসাটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে মনে হয় এখানে পর্দার কোনো বিধান নেই। এ জন্য বিশেষভাবে আল্লাহর নবীকে (সা.) প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ‘দেবরের ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?’ যেহেতু দেবরের বিষয়টি তখনকার সময় থেকে আরম্ভ করে খুবই নিবিড় বিষয় ছিল। দেবরকে মনে করা হতো যে ছোট ভাই। স্বামীর ছোট ভাই, সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব কম দেওয়া হতো। কিন্তু আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘দেবরের কথা বলছ? দেবর হচ্ছে একেবারেই মৃত্যুর সমতুল্য।’ সুতরাং মৃত্যু থেকে মানুষ যেমন সব সময় আশঙ্কা করে এবং সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করে, মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে যে, মৃত্যুর কথা শুনলেই সেখানে যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহর নবী (সা.) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি মৃত্যুর সমতুল্য। তাই এটি ভয়ংকর বিষয়। এখানে তো পর্দা করতেই হবে; বরং আরো বেশি পর্দা করতে হবে, যেহেতু আল্লাহর নবী (সা.) বলে দিয়েছেন যে, এটি হলো মৃত্যুর বিষয়।

আসলেই তাই। আপনি যদি দেখেন, বেশির ভাগ পারিবারিক অপরাধগুলো হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ যে অনাচারগুলো হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশই দেখা গিয়েছে ভাবী-দেবর সম্পর্কের মধ্যে। তাই এটি ইসলামী বিধানে একেবারেই নিষিদ্ধ কাজ, হারাম কাজ, কোনোভাবেই আপনার জন্য জায়েজ নেই যে, আপনি দেবরদের সামনে যাবেন। কিন্তু যদি দেবররা আপনার বাসায় থাকে, তাহলে পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে তাঁরাও আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে, তাঁদের সহযোগিতা করতে পারেন বা তাঁরাও আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম আপনাকে যেভাবে পর্দা দিয়েছে সেই পর্দার মধ্যে থেকে সেটা করতে হবে। অন্যথায় সব সময় এটি কবিরা গুনাহ হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।