শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

গজলডোবা বাঁধের সবক’টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

টানা বর্ষণে ও উজানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গজলডোবা বাঁধের সবক’টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে ভারত থেকে ধেয়ে আসা বানের পানিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

ফলে মঙ্গলবার লমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি আবারো বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা ও ধরলা নদীর ৬৩ চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধরলার পানির গতিতে সদরের কুলাঘাট ইউপির শিবেরকুটি এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাধটি ধসে গেছে।

তিস্তার প্রবল পানির স্রোতে ভেসে গেছে হাতীবান্ধার ধুবনি এলাকার বালুর বাঁধ। ফলে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথেই ধরলায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন।

মূলত: ভারত গজলডোবা ব্যারেজের ৫৪টি গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র-বরাক নদীর উপত্যকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর এই পানি ভাটিতে নেমে আসার পর বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়।

পাউবো সূত্র জানায়, ভারত ১৯৯৮ সালে তিস্তা ব্যারাজের ৬০ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা বাঁধটি নির্মাণ করে। উজানে বন্যা হলে এ বাঁধের ৫৪টি গেটের সব কটি খুলে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বন্যা দেখা দেয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে গজলডোবার উজানে তিস্তা-মহানন্দা খালের মাধ্যমে ২ হাজার ৯১৮ কিলোমিটার বাঁধে পানি প্রবেশ করে। তা দিয়ে ভারতের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, কুচবিহার ও মালদাহ জেলার ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়।

জানা যায়, বর্ষার সময় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হলে গজলডোবার ৫৪টি জলকপাট খুলে দেয় ভারত। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ২০১৬ সালের তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১ হাজার ৮৬৩টি পরিবার তিস্তার বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

গজলডোবা বাঁধের সবক’টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত !

আপডেট সময় : ১১:২৩:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

টানা বর্ষণে ও উজানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গজলডোবা বাঁধের সবক’টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে ভারত থেকে ধেয়ে আসা বানের পানিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

ফলে মঙ্গলবার লমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি আবারো বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা ও ধরলা নদীর ৬৩ চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধরলার পানির গতিতে সদরের কুলাঘাট ইউপির শিবেরকুটি এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাধটি ধসে গেছে।

তিস্তার প্রবল পানির স্রোতে ভেসে গেছে হাতীবান্ধার ধুবনি এলাকার বালুর বাঁধ। ফলে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথেই ধরলায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন।

মূলত: ভারত গজলডোবা ব্যারেজের ৫৪টি গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র-বরাক নদীর উপত্যকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর এই পানি ভাটিতে নেমে আসার পর বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়।

পাউবো সূত্র জানায়, ভারত ১৯৯৮ সালে তিস্তা ব্যারাজের ৬০ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা বাঁধটি নির্মাণ করে। উজানে বন্যা হলে এ বাঁধের ৫৪টি গেটের সব কটি খুলে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বন্যা দেখা দেয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে গজলডোবার উজানে তিস্তা-মহানন্দা খালের মাধ্যমে ২ হাজার ৯১৮ কিলোমিটার বাঁধে পানি প্রবেশ করে। তা দিয়ে ভারতের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, কুচবিহার ও মালদাহ জেলার ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়।

জানা যায়, বর্ষার সময় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হলে গজলডোবার ৫৪টি জলকপাট খুলে দেয় ভারত। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ২০১৬ সালের তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১ হাজার ৮৬৩টি পরিবার তিস্তার বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল।