ঝিনাইদহে এবার ৮শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলা করতে নেতাদের বাধা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিসংকরপুর ইউনিয়নের আয্যনারায়ন পুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় রবিবার সকালে সাহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (১৮) ৮ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে পাটের ক্ষেতের মধ্যে মুখ বেধে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আয্যনারায়নপুর থেকে কালা গ্রাম যাওয়ার রাস্তায় মেয়েটি কাজ করছিল। একটি বিশেষ প্রয়োজনে তাকে ডেকে পাঠায়। মেয়েটি যাওয়ার সময় মেহেদি হাসান বটতলা নামক স্থানে দাড়িয়ে ছিল। মেয়েটি মেহেদি হাসানের বাড়ির নিকট পৌঁছালে মেহেদী পিছন থেকে চুপি চুপি তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে জোর করে পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় উক্ত মেয়েটির চিৎকারে রাস্তার পাশে জৈনিক ২জন কাজ করা অবস্থায় ছুটে এসে পাটের ক্ষেতে দুই জনকে ধস্তাধস্তি অবস্থায় দেখতে পায়। দুজনকে দেখে মেহেদি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানা জানি হলে মেয়ের অভিবাবক গন মামলা করতে চাইলে গ্রামের সামাজিক নেতারা মামলা করতে ও প্রশাসনকে জানাতে নিষেধ করে।

মেয়ের অভিভাবককে স্থানীয় নেতার বলেন, আমরা উপযুক্ত বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি কিন্তু দুদিন অতিবাহীত হয়ে গেলও কোন প্রকার বিচার শালীস হয়নি। মেয়ের নানি এই ঘটনার দোষী ব্যাক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবী করে বলেন, আমার কোন ছেলে নাই বলে আমি বিচার পাচ্ছি না। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদী এর আগে আরও ২বার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সমাজের প্রভাব শালীদের সহযোগিতায় পার পেয়ে গেছে। এদিকে মেহেদী হাসানের মা উক্ত ঘটনা কে মিথ্যা বলে দাবী করে ও ছেলে মেহেদী কোথায় আছে তাও বলতে অস্বীকার করে মেহেদীর মা। হরিসংকর পুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাংবাদিকদের নিকট থেকে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনা স্থানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টা স্থানীয় ভাবে সামাজিক নেতারা মীমাংসা করবেন বলে তাকে জানিয়েছে গ্রামের সরকারী দলীয় নেতারা। এ প্রসঙ্গে হরিসংকর পুর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম কিছু জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে এবার ৮শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলা করতে নেতাদের বাধা

আপডেট সময় : ০৩:৪১:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিসংকরপুর ইউনিয়নের আয্যনারায়ন পুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় রবিবার সকালে সাহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (১৮) ৮ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে পাটের ক্ষেতের মধ্যে মুখ বেধে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আয্যনারায়নপুর থেকে কালা গ্রাম যাওয়ার রাস্তায় মেয়েটি কাজ করছিল। একটি বিশেষ প্রয়োজনে তাকে ডেকে পাঠায়। মেয়েটি যাওয়ার সময় মেহেদি হাসান বটতলা নামক স্থানে দাড়িয়ে ছিল। মেয়েটি মেহেদি হাসানের বাড়ির নিকট পৌঁছালে মেহেদী পিছন থেকে চুপি চুপি তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে জোর করে পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় উক্ত মেয়েটির চিৎকারে রাস্তার পাশে জৈনিক ২জন কাজ করা অবস্থায় ছুটে এসে পাটের ক্ষেতে দুই জনকে ধস্তাধস্তি অবস্থায় দেখতে পায়। দুজনকে দেখে মেহেদি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানা জানি হলে মেয়ের অভিবাবক গন মামলা করতে চাইলে গ্রামের সামাজিক নেতারা মামলা করতে ও প্রশাসনকে জানাতে নিষেধ করে।

মেয়ের অভিভাবককে স্থানীয় নেতার বলেন, আমরা উপযুক্ত বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি কিন্তু দুদিন অতিবাহীত হয়ে গেলও কোন প্রকার বিচার শালীস হয়নি। মেয়ের নানি এই ঘটনার দোষী ব্যাক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবী করে বলেন, আমার কোন ছেলে নাই বলে আমি বিচার পাচ্ছি না। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদী এর আগে আরও ২বার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সমাজের প্রভাব শালীদের সহযোগিতায় পার পেয়ে গেছে। এদিকে মেহেদী হাসানের মা উক্ত ঘটনা কে মিথ্যা বলে দাবী করে ও ছেলে মেহেদী কোথায় আছে তাও বলতে অস্বীকার করে মেহেদীর মা। হরিসংকর পুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাংবাদিকদের নিকট থেকে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনা স্থানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টা স্থানীয় ভাবে সামাজিক নেতারা মীমাংসা করবেন বলে তাকে জানিয়েছে গ্রামের সরকারী দলীয় নেতারা। এ প্রসঙ্গে হরিসংকর পুর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম কিছু জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান।