৩০ বছরের মধ্যেই ছাড়তে হবে পৃথিবী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:১৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমি নিশ্চিত আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই ছাড়তে হবে পৃথিবী। চাঁদ অথবা মঙ্গলে গড়তে হবে সভ্যতা। হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। এমনটাই বললেন পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিং। সম্প্রতি নরওয়ের ট্রুন্ডহিমে স্টারমাস সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে এমন উক্তি করেন এ কসমোলজিস্ট।

তিনি আরো বলেন, এখানে জায়গাটা খুব দ্রুত ছোট হয়ে আসছে। টিকে থাকার জন্য যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ দরকার, উদ্বেগজনক হারে তা খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে আসছে। হকিং বলেছেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আর খুব বেশি দেরি নেই। ‘

আমাদের এই গ্রহের খুব কাছে থাকা (নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট) গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড একের পর এক আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর ওপর। এই পৃথিবীটাকে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার রাস্তাগুলো আমরাই এতদিন ধরে তৈরি করেছি। পৃথিবীর ‘জ্বর’ বাড়ছে লাফিয়ে।

দুই মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে অসম্ভব দ্রুত হারে। বসতি গড়তে যথেচ্ছ বন কেটে ‘নির্বংশ’ করছি গাছপালা। তাতে হইহই করে ভেঙে পড়ছে ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র। বহু প্রজাতির প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বহু প্রজাতির উদ্ভিদ। এটা কোনো সায়েন্স ফিকশন নয়। সায়েন্স ফ্যাক্টস বা বৈজ্ঞানিক সত্য। পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম ও সূত্র সেটাই বলছে। ’

হকিং মনে করছেন, মানব সভ্যতার জন্য ‘নিরাপদ’ কোনো জায়গা নেই পৃথিবীতে। হকিংয়ের কথায়, পৃথিবীতে মাথা গোঁজার জায়গাটা সংকুচিত হয়ে এসেছে। এজন্য টার্গেট রাখতে হবে যাতে ৩০ বছরের মধ্যেই চাঁদে গড়তে হবে সভ্যতার পরবর্তী উপনিবেশ। আর ৫০ বছরের মধ্যেই উপনিবেশ গড়ে তুলতে হবে মঙ্গলে।

সূত্র: ইউএসএ টুডে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৩০ বছরের মধ্যেই ছাড়তে হবে পৃথিবী !

আপডেট সময় : ০২:০৭:১৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমি নিশ্চিত আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই ছাড়তে হবে পৃথিবী। চাঁদ অথবা মঙ্গলে গড়তে হবে সভ্যতা। হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। এমনটাই বললেন পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিং। সম্প্রতি নরওয়ের ট্রুন্ডহিমে স্টারমাস সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে এমন উক্তি করেন এ কসমোলজিস্ট।

তিনি আরো বলেন, এখানে জায়গাটা খুব দ্রুত ছোট হয়ে আসছে। টিকে থাকার জন্য যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ দরকার, উদ্বেগজনক হারে তা খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে আসছে। হকিং বলেছেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আর খুব বেশি দেরি নেই। ‘

আমাদের এই গ্রহের খুব কাছে থাকা (নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট) গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড একের পর এক আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর ওপর। এই পৃথিবীটাকে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার রাস্তাগুলো আমরাই এতদিন ধরে তৈরি করেছি। পৃথিবীর ‘জ্বর’ বাড়ছে লাফিয়ে।

দুই মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে অসম্ভব দ্রুত হারে। বসতি গড়তে যথেচ্ছ বন কেটে ‘নির্বংশ’ করছি গাছপালা। তাতে হইহই করে ভেঙে পড়ছে ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র। বহু প্রজাতির প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বহু প্রজাতির উদ্ভিদ। এটা কোনো সায়েন্স ফিকশন নয়। সায়েন্স ফ্যাক্টস বা বৈজ্ঞানিক সত্য। পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম ও সূত্র সেটাই বলছে। ’

হকিং মনে করছেন, মানব সভ্যতার জন্য ‘নিরাপদ’ কোনো জায়গা নেই পৃথিবীতে। হকিংয়ের কথায়, পৃথিবীতে মাথা গোঁজার জায়গাটা সংকুচিত হয়ে এসেছে। এজন্য টার্গেট রাখতে হবে যাতে ৩০ বছরের মধ্যেই চাঁদে গড়তে হবে সভ্যতার পরবর্তী উপনিবেশ। আর ৫০ বছরের মধ্যেই উপনিবেশ গড়ে তুলতে হবে মঙ্গলে।

সূত্র: ইউএসএ টুডে