শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

‘ফিদেল ক্যাস্ত্রোর জীবন-কর্মকে বাংলাদেশ স্মরণ করবে’

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৩২ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর স্মরণসভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘ক্যাস্ত্রো শুধুমাত্র কিউবাকেই উদ্বুদ্ধ করেননি, তিনি অনেক উন্নয়নশীল দেশকে দারিদ্র্য, অসাম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুনরুত্থানে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনু্িষ্ঠত এই স্মরণসভায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ক্যাস্ত্রোর প্রথম সাক্ষাতের ঐতিহাসিক স্মৃতির পূনরুল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, সেই সাক্ষাতের সময় এই দুই মহান নেতার সমসাময়িক বৈশ্বিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তারা এমন একটি শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে দারিদ্র্য, সংঘাত ও কোনো ধরনের অবিচার থাকবে না।
মাসুদ বিন মোমেন আরো উল্লেখ করেন, সাক্ষাৎ শেষে কমান্ডার ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। শেখ মুজিবকে দেখলাম। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে মানুষটি হিমালয় সমতুল্য। তাকে দেখে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিদেল ক্যাস্ত্রোর আজন্ম বাসনা ছিল ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি আধুনিক কিউবার স্থপতি, ন্যামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসাবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্মকে সবসময় স্মরণ করবে।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেস উইং জানায়, বিকালে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মানব পাচার’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের একটি উন্মুক্ত বিতর্কে বক্তব্য দেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি নতুন ও পূর্নাঙ্গ রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মানব পাচারের বৈশ্বিক অভিশাপ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির পূনর্ব্যক্ত করেন। কতিপয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানব পাচারের মাধ্যমে তাদের শক্তি, লোকবল ও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে মর্মে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত একটি পূর্নাঙ্গ অভিবাসন ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিগমনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। মানবপাচার সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার ও দণ্ডপ্রদান ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও তিনি জোর দেন।
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাঝে সৃষ্ট অনৈতিক বন্ধন ভেঙ্গে ফেলতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

‘ফিদেল ক্যাস্ত্রোর জীবন-কর্মকে বাংলাদেশ স্মরণ করবে’

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর স্মরণসভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘ক্যাস্ত্রো শুধুমাত্র কিউবাকেই উদ্বুদ্ধ করেননি, তিনি অনেক উন্নয়নশীল দেশকে দারিদ্র্য, অসাম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুনরুত্থানে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনু্িষ্ঠত এই স্মরণসভায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ক্যাস্ত্রোর প্রথম সাক্ষাতের ঐতিহাসিক স্মৃতির পূনরুল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, সেই সাক্ষাতের সময় এই দুই মহান নেতার সমসাময়িক বৈশ্বিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তারা এমন একটি শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে দারিদ্র্য, সংঘাত ও কোনো ধরনের অবিচার থাকবে না।
মাসুদ বিন মোমেন আরো উল্লেখ করেন, সাক্ষাৎ শেষে কমান্ডার ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। শেখ মুজিবকে দেখলাম। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে মানুষটি হিমালয় সমতুল্য। তাকে দেখে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিদেল ক্যাস্ত্রোর আজন্ম বাসনা ছিল ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি আধুনিক কিউবার স্থপতি, ন্যামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসাবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্মকে সবসময় স্মরণ করবে।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেস উইং জানায়, বিকালে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মানব পাচার’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের একটি উন্মুক্ত বিতর্কে বক্তব্য দেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি নতুন ও পূর্নাঙ্গ রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মানব পাচারের বৈশ্বিক অভিশাপ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির পূনর্ব্যক্ত করেন। কতিপয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানব পাচারের মাধ্যমে তাদের শক্তি, লোকবল ও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে মর্মে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত একটি পূর্নাঙ্গ অভিবাসন ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিগমনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। মানবপাচার সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার ও দণ্ডপ্রদান ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও তিনি জোর দেন।
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাঝে সৃষ্ট অনৈতিক বন্ধন ভেঙ্গে ফেলতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।