রবিবার | ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী 

ঝিনাইদহে সুদে ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্বে জিম্মি নিম্ন আয়ের মানুষ, নেই প্রতিকার

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ   দাদন ও মুদারাবা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন ঝিনাইদহের প্রতিটি উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। সুদে ব্যাসায়ীদের শর্ত হলো কেউ যদি ৫০০০ টাকা লোন নেয় তাহলে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে দিয়ে মুদারাবা ব্যবসায়ীদেও টাকা ৪ মাসে শোধ করতে হয়। না দিতে পারলে দ্বিগুন হারে সুদ দিতে হয়। সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের বেড়াজালে এরইমধ্যে ভিটেমাটি হারিয়েছেন অনেকে।

টাকা দিতে না পারায় কয়েকটি পরিবার পালিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে ভারতে। শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। আর অসাধু মহাজনদের সুদের অত্যাচারের প্রতিকার মিলছে না কোথাও। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ নিজেদের জীবন ও জীবিকার জন্য টাকা ধার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

সোনার গয়না, জমি, স্বাক্ষর করা ব্যাংকের চেক বই ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প বন্ধক রেখে সুদখোর মহাজনরা অভাবী মানুষদের টাকা দেয়। আর্থিক অনটনে ধারকর্য করে পরবর্তীতে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ টাকা পরিশোধ করেও কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া, খয়েতলা ও কোলা, বলরামপুর ও ইউনিয়নের অনেকেরই মেটেনি দেনার দায়। কখনো কখনো পাওনা টাকার দোহাই দিয়ে জব্দ করা হচ্ছে ভিটেমাটি অথবা গোয়ালের গরু।

কোলা গ্রামের ঋণগ্রহীতা সুবাস জানান, ভ্যান চালিয়ে দেনা দিতে পারছি না। অনেক ঋণগ্রহীতা শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত হচ্ছেন সুদখোর মহাজনদের কাছে। অত্যাচারে জমিজমা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে বেশির ভাগ লোকই মহাজনদের খপ্পরে পড়ে বছরের পর বছর ঋণ  গ্রস্থই থাকছেন। বর্তমানে নতুন ধান ঘরে তোলার আগেই দাদন ও সুদ ব্যবসায়ীদের দাপট বেড়ে চলেছে। সুদ ব্যবসায়িরা পাওনাদারদের বাড়ি বাড়ি চষে বেড়াচ্ছে সুদের পাওনা টাকার জন্য।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় তিন সুদখোর মহাজন এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষের কাছে লাখ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন নাম দিয়ে তারা এলাকায় আড়াই বছর ধরে দাদন ব্যবসা করে আসছেন। দাদন ব্যবসায়ীরা শতকরা মাসিক ১৮ থেকে ২০ টাকা হারে সুদ নিচ্ছেন।

ঝিনাইদহের প্রতিটি উপজেলার একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দিন মজুরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। আর দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর নিত্য অভাব অনটনের সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু সুদে ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের ৬টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

ঝিনাইদহে সুদে ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্বে জিম্মি নিম্ন আয়ের মানুষ, নেই প্রতিকার

আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ   দাদন ও মুদারাবা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন ঝিনাইদহের প্রতিটি উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। সুদে ব্যাসায়ীদের শর্ত হলো কেউ যদি ৫০০০ টাকা লোন নেয় তাহলে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে দিয়ে মুদারাবা ব্যবসায়ীদেও টাকা ৪ মাসে শোধ করতে হয়। না দিতে পারলে দ্বিগুন হারে সুদ দিতে হয়। সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের বেড়াজালে এরইমধ্যে ভিটেমাটি হারিয়েছেন অনেকে।

টাকা দিতে না পারায় কয়েকটি পরিবার পালিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে ভারতে। শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। আর অসাধু মহাজনদের সুদের অত্যাচারের প্রতিকার মিলছে না কোথাও। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ নিজেদের জীবন ও জীবিকার জন্য টাকা ধার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

সোনার গয়না, জমি, স্বাক্ষর করা ব্যাংকের চেক বই ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প বন্ধক রেখে সুদখোর মহাজনরা অভাবী মানুষদের টাকা দেয়। আর্থিক অনটনে ধারকর্য করে পরবর্তীতে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ টাকা পরিশোধ করেও কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া, খয়েতলা ও কোলা, বলরামপুর ও ইউনিয়নের অনেকেরই মেটেনি দেনার দায়। কখনো কখনো পাওনা টাকার দোহাই দিয়ে জব্দ করা হচ্ছে ভিটেমাটি অথবা গোয়ালের গরু।

কোলা গ্রামের ঋণগ্রহীতা সুবাস জানান, ভ্যান চালিয়ে দেনা দিতে পারছি না। অনেক ঋণগ্রহীতা শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত হচ্ছেন সুদখোর মহাজনদের কাছে। অত্যাচারে জমিজমা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে বেশির ভাগ লোকই মহাজনদের খপ্পরে পড়ে বছরের পর বছর ঋণ  গ্রস্থই থাকছেন। বর্তমানে নতুন ধান ঘরে তোলার আগেই দাদন ও সুদ ব্যবসায়ীদের দাপট বেড়ে চলেছে। সুদ ব্যবসায়িরা পাওনাদারদের বাড়ি বাড়ি চষে বেড়াচ্ছে সুদের পাওনা টাকার জন্য।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় তিন সুদখোর মহাজন এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষের কাছে লাখ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন নাম দিয়ে তারা এলাকায় আড়াই বছর ধরে দাদন ব্যবসা করে আসছেন। দাদন ব্যবসায়ীরা শতকরা মাসিক ১৮ থেকে ২০ টাকা হারে সুদ নিচ্ছেন।

ঝিনাইদহের প্রতিটি উপজেলার একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দিন মজুরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। আর দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর নিত্য অভাব অনটনের সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু সুদে ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের ৬টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।