শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

‘মুক্তিপণ’ না দেওয়ায় ইরাকে বাংলাদেশিকে হত্যা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:১১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইরাকের বাগদাদে ফজলুল হক বুলবুল (৪০) নামে জামালপুরের এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। নিহত ফজলুল হক বুলবুল জামালপুর সদরের রশীদপুর শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক আকন্দের ছেলে।

রবিবার রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী (ফজলুল হক বুলবুল) ২০১৩ সালে স্থানীয় দালাল গিয়াস উদ্দীনের মাধ্যমে ইরাকে যান। ইরাকের বাগদাদে একটি দোকানে তিনি কাজ করতেন। গত ২৩ মার্চ দোকান থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ভিডিও কলের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার এবং ইরাকে অবস্থানকারী বুলবুলের বন্ধুদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় অপহরণকারীদের।

জোসনা আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনে বুলবুল মারা গেছেন মনে করে অপহরণকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে রাখে। ইরাকের স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গত ২৭ মার্চ বাগদাদ সাহারা ফিলিস্তিন এলাকার সরকারি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে বুলবুল মারা যান।

বুলবুলের বড় ছেলে ইনছান জানান, ‘অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে জামালপুরের রশীদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রনি মিয়া, বাবর আলী, শামীম মিয়া, রামনগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও আশেক আলী জড়িত রয়েছে। অপহরণের পর তারা বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নগদ টাকা এবং জমি লিখে দেওয়ার কথা বলেছেন। ‘

বুলবুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বুলবুলের মরদেহ সরকারিভাবে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে বুলবুলের পরিবার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

‘মুক্তিপণ’ না দেওয়ায় ইরাকে বাংলাদেশিকে হত্যা !

আপডেট সময় : ০২:১৪:১১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইরাকের বাগদাদে ফজলুল হক বুলবুল (৪০) নামে জামালপুরের এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। নিহত ফজলুল হক বুলবুল জামালপুর সদরের রশীদপুর শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক আকন্দের ছেলে।

রবিবার রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী (ফজলুল হক বুলবুল) ২০১৩ সালে স্থানীয় দালাল গিয়াস উদ্দীনের মাধ্যমে ইরাকে যান। ইরাকের বাগদাদে একটি দোকানে তিনি কাজ করতেন। গত ২৩ মার্চ দোকান থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ভিডিও কলের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার এবং ইরাকে অবস্থানকারী বুলবুলের বন্ধুদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় অপহরণকারীদের।

জোসনা আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনে বুলবুল মারা গেছেন মনে করে অপহরণকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে রাখে। ইরাকের স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গত ২৭ মার্চ বাগদাদ সাহারা ফিলিস্তিন এলাকার সরকারি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে বুলবুল মারা যান।

বুলবুলের বড় ছেলে ইনছান জানান, ‘অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে জামালপুরের রশীদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রনি মিয়া, বাবর আলী, শামীম মিয়া, রামনগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও আশেক আলী জড়িত রয়েছে। অপহরণের পর তারা বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নগদ টাকা এবং জমি লিখে দেওয়ার কথা বলেছেন। ‘

বুলবুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বুলবুলের মরদেহ সরকারিভাবে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে বুলবুলের পরিবার।