সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর আওতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার স্টেডিয়াম এলাকা ও বেলকুচির আজুগাড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি রুমে বেসিন, ট্যাপ, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা, এমনকি সৌরবিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে।
তবে কেন্দ্রগুলো চালু না হওয়ায় দ্রুত নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সরঞ্জাম। স্থানীয়রা জানান, দোকানঘরগুলো এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে। রাতে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে।
স্টেডিয়াম এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী ফিরোজ হাসান বলেন, রাত নামলেই এখানে মাদকসেবীদের ভিড় হয়। কেউ এসব দেখাশোনা করে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প শুরুর তিন মাস পর আমরা জানতে পারি, সিরাজগঞ্জে এই কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনারুল হক বলেন, এ প্রকল্প বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ঢাকা অফিস থেকেই সরাসরি কাজ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে পৌরসভায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এর অবস্থা কী, তা আমাদের জানা নেই।
অন্যদিকে, পৌরসভার বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জুলফিকার আলী জানান, এই বাজারের কোনো বাস্তব চাহিদা নেই। ৪৮টি দোকানের মধ্যে মাত্র ৮টি বরাদ্দ দেওয়া গেছে। ভুল জায়গায় স্থাপনের কারণেই এটি অকেজো হয়ে পড়েছে।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিডি হারুন রশিদ বলেন, এটি একটি প্যাকেজ প্রকল্প। প্রতিটি কেন্দ্রে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে প্রকল্পের কার্যকারিতা বা পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি ফোন কেটে দেন।







































