দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষীদের আধুনিক পদ্ধতিতে পাট ও বীজ উৎপাদন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে “সোনালি আশের সোনার দেশ, পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ” শীর্ষক উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচিতে ৭৫ জন পাট চাষীকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ দেওয়া হয়।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অশীম কুমার মালাকার এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন কুমার রায়ের পরিচালনায় প্রশিক্ষক ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো: শাহ আলম, বিএডিসি এর উপ-পরিচালক মো: মজহারুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শরিফুল ইসলাম।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রশিক্ষণার্থীরা ছাড়াও পাট অধিদপ্তর এর অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে পাটখাতকে দেশের রপ্তানির অন্যতম প্রধান আয়ের উৎসে পরিণত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাট চাষ করলে উৎপাদন বাড়বে, কৃষকের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। বীরগঞ্জের চাষীরা যদি আগ্রহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগান, তাহলে এই এলাকার পাট আবারও দেশের সেরা পাট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের পাটচাষী রাজ কিশোর কুমার রায় বলেন, আগে আমরা পুরনো নিয়মে পাট চাষ করতাম, ফলে উৎপাদন কম হতো। আজকের প্রশিক্ষণে নতুন অনেক কিছু শিখেছি বীজ সংরক্ষণ, রোগ প্রতিরোধ ও মানসম্মত আঁশ পাওয়ার পদ্ধতি। এটা আমাদের চাষাবাদে অনেক সাহায্য করবে।
একই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের পাটচাষী রাজেন্দ্র মহন্ত বলেন, এমন প্রশিক্ষণ নিয়মিত হলে আমরা আরও বেশি পাট উৎপাদন করতে পারবো। সরকারের পক্ষ থেকে উপকরণ সহায়তা পাওয়ায় আমরা উৎসাহিত হই।
দিনাজপুরে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সিস্টেমের
দুর্বলতায় বিসিকের সেমিনার
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের দশে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনে সিস্টেমের দুর্বলতা ও সচেতনতার অভাব রয়েছে। হালকা প্রকৌশল শিল্পের উৎপাদনে বায়ু দুর্ষণ একটি বড় সমস্যা। শিল্পের উৎপাদনের ব্যবহৃদ নির্গত বর্জ্য নিষ্কাশনে পরিবেশের উপর যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলছে। ফলে মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং জীব বৈচিত্র মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতি বাড়ছে। এছাড়া মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ এর ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে একসাথে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে।
২৯ অক্টোবর বুধবার দিনাজপুর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে “হালকা প্রকৌশল শিল্পের উৎপাদনে ব্যবহৃদ কাঁচা মাল অথবা নির্গত বর্জ্য নিষ্কাশণে পরিবেশের উপর প্রভাব এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
বিসিক জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন, বিসিক ঢাকা উপকরণ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌঃ মোঃ সামিউল ইসলাম, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয় রাজশাহী’র আঞ্চলিক পরিচালক জাফর বায়জীদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের উপব্যবস্থাপক চারু চন্দ্র বর্মন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুরের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রোফরেস্ট্রি এন্ড ইনভাইরনমেন্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ শোয়াইবুর রহমান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ দপ্তরের পক্ষে প্রভাতি রানী, ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষন কর্মকর্তা মোঃ বোরহান উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান বাবু, উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক এর রাশেদ উল ইসলাম, চেম্বারের পরিচালক মোর্শেদ সুমন, বিএসটিআই জেলা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ও পাটোয়ারী বিজনেস হাউজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন বিসিক জেলা কার্যালয়ের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন।







































