শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

সাত বছর পর ফরিদগঞ্জের হায়াতের নেছা হত্যা মামলার মূল আসামি চাঁদপুর পিবিআই’র জালে ধরা

২০১৮ সালে ফরিদগঞ্জে সংঘটিত হায়াতের নেছা হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামীকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত অনুমান সাড়ে ৯টা হতে ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যে কোনো সময় কে বা কারা কৌশলে নিহতের বসত বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে তার শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানে থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৪ রত্তি ওজনের স্বর্ণের নাকফুল (বাজার মূল্য ১৭ হাজার ৫০০ টাকা হবে) ও হায়াতের নেছার ব্যবহৃত নকিয়া ১২০০ মডেলের মোবাইল সেট (যার মূল্য অনুমান ১৫০০টাকা) নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন থানায় অবহিত করলে পুলিশ হায়াতের নেছার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। হায়াতের নেছার সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনায় হায়াতের নেছার কপালে হালকা কালো দাগ, মুখ দিয়ে রক্ত নির্গত, যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত নির্গত ও গলার দুই পাশে কালো দাগ দেখা যায়।

উল্লেখিত ঘটনায় হায়াতের নেছার ভাইয়ের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (রুবেল) (২৮) (পিতা- আ. হালিম পাটওয়ারী, সাং- পশ্চিম বড়ালী, নোয়া বাড়ি, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর) অভিযোগ দায়ের করলে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা সহ দস্যুতা মামলা রুজু হয়। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্তের পর রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআই’র উপর ন্যাস্ত হয়।
পিবিআই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পিবিআই, চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার এ.কে.এম. মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে ও দিক নিদের্শনায় তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) (সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির, এসআই/ বাপ্পী কবিরাজ, পিএসআই/তামিম, এএসআই/বেলাল, এএসআই/বিল্লাল, কনস্টেবল মোমেন) সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকু (৩৮), (পিতা- আ. জব্বার, মাতা-তাজিয়া বেগম প্ৰকাশ, সাং- পশ্চিম বড়ালী পাথৈর দিঘির পাড়, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর) কে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

আটক আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সহযোগী আসামী আনোয়ার সহ বাদীদের বসত বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে হায়াতের নেছাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানে থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৪ রত্তি ওজনের স্বর্ণের নাকফুল ও তার ব্যবহৃত নকিয়া ১২০০ মডেলের মোবাইল সেট নিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে।

আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকু (৩৮) কে শুক্রবার (২০ জুন ২০২৫) বিকেল ৩টায় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

সাত বছর পর ফরিদগঞ্জের হায়াতের নেছা হত্যা মামলার মূল আসামি চাঁদপুর পিবিআই’র জালে ধরা

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

২০১৮ সালে ফরিদগঞ্জে সংঘটিত হায়াতের নেছা হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামীকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত অনুমান সাড়ে ৯টা হতে ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যে কোনো সময় কে বা কারা কৌশলে নিহতের বসত বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে তার শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানে থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৪ রত্তি ওজনের স্বর্ণের নাকফুল (বাজার মূল্য ১৭ হাজার ৫০০ টাকা হবে) ও হায়াতের নেছার ব্যবহৃত নকিয়া ১২০০ মডেলের মোবাইল সেট (যার মূল্য অনুমান ১৫০০টাকা) নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন থানায় অবহিত করলে পুলিশ হায়াতের নেছার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। হায়াতের নেছার সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনায় হায়াতের নেছার কপালে হালকা কালো দাগ, মুখ দিয়ে রক্ত নির্গত, যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত নির্গত ও গলার দুই পাশে কালো দাগ দেখা যায়।

উল্লেখিত ঘটনায় হায়াতের নেছার ভাইয়ের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (রুবেল) (২৮) (পিতা- আ. হালিম পাটওয়ারী, সাং- পশ্চিম বড়ালী, নোয়া বাড়ি, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর) অভিযোগ দায়ের করলে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা সহ দস্যুতা মামলা রুজু হয়। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্তের পর রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআই’র উপর ন্যাস্ত হয়।
পিবিআই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পিবিআই, চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার এ.কে.এম. মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে ও দিক নিদের্শনায় তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) (সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির, এসআই/ বাপ্পী কবিরাজ, পিএসআই/তামিম, এএসআই/বেলাল, এএসআই/বিল্লাল, কনস্টেবল মোমেন) সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকু (৩৮), (পিতা- আ. জব্বার, মাতা-তাজিয়া বেগম প্ৰকাশ, সাং- পশ্চিম বড়ালী পাথৈর দিঘির পাড়, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর) কে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

আটক আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সহযোগী আসামী আনোয়ার সহ বাদীদের বসত বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে হায়াতের নেছাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানে থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৪ রত্তি ওজনের স্বর্ণের নাকফুল ও তার ব্যবহৃত নকিয়া ১২০০ মডেলের মোবাইল সেট নিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে।

আসামী মো. রিপন প্রকাশ রিংকু (৩৮) কে শুক্রবার (২০ জুন ২০২৫) বিকেল ৩টায় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।