প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোরআনের আয়াত ও একাধিক হাদিস দ্বারা মাকামে মাহমুদ প্রমাণিত। এর শাব্দিক অর্থ সম্মানজনক অবস্থান। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শাফাআতে কুবরা বা বড় সুপারিশ। মাকামে মাহমুদ দ্বারা জান্নাতের বিশেষ কোনো স্তর উদ্দেশ্য নয়। হাদিসে এসেছে, হাশরের দিন হাশরবাসীর জন্য সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করবেন। তাঁর সুপারিশের মাধ্যমে পরকালে বিচারকার্য শুরু হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই কিয়ামাতের দিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। প্রত্যেক নবীর উম্মাত স্বীয় নবীর অনুসরণ করবে। তারা বলবে, হে অমুক (নবী)! আপনি সুপারিশ করুন, হে অমুক (নবী)! আপনি সুপারিশ করুন। (কেউ সুপারিশ করতে চাইবেন না)। শেষ পর্যন্ত সুপারিশের দায়িত্ব নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর পড়বে। আর এ দিনেই আল্লাহ তাআলা তঁাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৭১৮)
হাদিস গবেষকরা বলেন, আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার এই অধিকারই মাকামে মাহমুদ বা সুউচ্চ মর্যাদা। (ফাতহুল বারী ৮/২৫২)
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করবে, এটা তোমার এক অতিরিক্ত দায়িত্ব। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (মাকামে মাহমুদে)।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৭৯)