বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া কি জায়েজ ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:০২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • ৮১৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : আমার আম্মা হচ্ছেন কিডনির রোগী। উনাকে ডাক্তার একদম হাঁটু গেড়ে বসতে নিষেধ করে দিয়েছেন। তো, উনি চেয়ারে বসে নামাজ পড়েন। সূরা ও রুকু দাঁড়িয়ে করেন। কিন্তু সেজদাহ চেয়ারে বসে বালিশে দেন অথবা ইশারায় সেজদাহ দেন। কিন্তু আমি আমাদের এলাকার মসজিদে লেখা দেখলাম যে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া অকাট্যভাবে নাজায়েজ। তাহলে আমার আম্মা কীভাবে নামাজ পড়বেন, যেহেতু তাঁর বসা একদম নিষেধ।

উত্তর : চেয়ারে বসে নামাজ পড়া অকাট্যভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ, এ রকম কোনো দলিল আছে বলে আমার জানা নেই। অকাট্যভাবে এটি দলিলবিহীন কথা। কারণ, ওজরের জন্য যেকোনো অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়েজ। ওজরের জন্য যদি শুয়ে নামাজ পড়া যায়, ইশারায় নামাজ পড়া যায়, তাহলে বসে পড়া যাবে না কেন?

কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা বলেছেন, ‘তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়’ (সূরা-তাগাবু)। সুতরাং কেউ যদি দাঁড়াতে না পারেন, তিনি বসে পড়বেন; কেউ যদি বসতে না পারেন, তিনি শুয়ে পড়বেন; আর শুয়েও পড়তে না পারলে তিনি যেভাবে পারেন, সেভাবেই নামাজ পড়বেন। এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিধান। সুতরাং ‘অকাট্যভাবে’ এটি দলিলবিহীন বক্তব্য।

ওজরের মাসয়ালা কোনোভাবেই স্বাভাবিক মাসয়ালার ওপর করার বৈধতা নেই। ইমাম শাফি (রা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো কারণে মানুষের ওপর কোনো বিষয় কঠিন, সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন ইসলাম এটাকে প্রশস্ত করে দেয়, সহজ করে দেয়।’ এটা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এটি একেবারেই জায়েজ। যাঁরা ফতোয়া দিয়েছেন, তাঁরা আন্দাজে ফতোয়া দিয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া কি জায়েজ ?

আপডেট সময় : ০৬:১১:০২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : আমার আম্মা হচ্ছেন কিডনির রোগী। উনাকে ডাক্তার একদম হাঁটু গেড়ে বসতে নিষেধ করে দিয়েছেন। তো, উনি চেয়ারে বসে নামাজ পড়েন। সূরা ও রুকু দাঁড়িয়ে করেন। কিন্তু সেজদাহ চেয়ারে বসে বালিশে দেন অথবা ইশারায় সেজদাহ দেন। কিন্তু আমি আমাদের এলাকার মসজিদে লেখা দেখলাম যে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া অকাট্যভাবে নাজায়েজ। তাহলে আমার আম্মা কীভাবে নামাজ পড়বেন, যেহেতু তাঁর বসা একদম নিষেধ।

উত্তর : চেয়ারে বসে নামাজ পড়া অকাট্যভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ, এ রকম কোনো দলিল আছে বলে আমার জানা নেই। অকাট্যভাবে এটি দলিলবিহীন কথা। কারণ, ওজরের জন্য যেকোনো অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়েজ। ওজরের জন্য যদি শুয়ে নামাজ পড়া যায়, ইশারায় নামাজ পড়া যায়, তাহলে বসে পড়া যাবে না কেন?

কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা বলেছেন, ‘তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়’ (সূরা-তাগাবু)। সুতরাং কেউ যদি দাঁড়াতে না পারেন, তিনি বসে পড়বেন; কেউ যদি বসতে না পারেন, তিনি শুয়ে পড়বেন; আর শুয়েও পড়তে না পারলে তিনি যেভাবে পারেন, সেভাবেই নামাজ পড়বেন। এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিধান। সুতরাং ‘অকাট্যভাবে’ এটি দলিলবিহীন বক্তব্য।

ওজরের মাসয়ালা কোনোভাবেই স্বাভাবিক মাসয়ালার ওপর করার বৈধতা নেই। ইমাম শাফি (রা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো কারণে মানুষের ওপর কোনো বিষয় কঠিন, সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন ইসলাম এটাকে প্রশস্ত করে দেয়, সহজ করে দেয়।’ এটা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এটি একেবারেই জায়েজ। যাঁরা ফতোয়া দিয়েছেন, তাঁরা আন্দাজে ফতোয়া দিয়েছেন।