শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার Logo বিজেপি’র (চাঁদপুর-৩ আসনে) এমপি প্রার্থী টকশো ব্যক্তিত্ব উপাধ্যক্ষ নূরুজ্জামান হীরা Logo সারাদেশে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে পুষ-পুত্তলিকা দাহ করেছে এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার কতৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা বলেন, “গিয়াস উদ্দিন চায় কি, গোলামি আর দালালি” ; “গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি” ; “জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো” ; “এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার তুই গদি ছাড়” ; “কুয়েট শিক্ষা নে, গদি তুই ছাইড়া দে” এসব স্লোগান দেন।

এসময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রের যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোর আনজুম সাম্য বলেন, রেজিস্ট্রার একজন সাম্রাজ্যবাদী কলোনিয়ালিস্ট। আমরা কলোনিয়ালিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। মেরুদণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। আমরা এরপর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে, তার জন্য দায়ী থাকতবে প্রশাসন।

শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহৃবায়ক মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী দোসর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এখনো সক্রিয়। আমরা মনে করেছিলাম, ৫ আগস্টের পরে তারা আর থাকবে না। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়েছেন। এই রেজিস্ট্রার হলেন সেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসরের একজন। ভালোই ভালো নিজের ডিপার্টমেন্টে ফিরে যান। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। ফ্যাসিস্টদের কোন প্রশাসনিক জায়গায় থাকতে দিবো না।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, কারণ সব জায়গায় অযোগ্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
একজন একাডেমিক ব্যক্তিকে কেন রেজিস্ট্রারের জায়গায় বসানো হয়েছে, সেই উত্তর দিতে হবে।
ক্ষমতা যদি আপনার হাতিয়ার হয়, তাহলে ছাত্ররা ইতিহাসের আশ্রয় নিবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে হবে। অব্যাহতি দেয়া না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে পুষ-পুত্তলিকা দাহ করেছে এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার কতৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা বলেন, “গিয়াস উদ্দিন চায় কি, গোলামি আর দালালি” ; “গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি” ; “জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো” ; “এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার তুই গদি ছাড়” ; “কুয়েট শিক্ষা নে, গদি তুই ছাইড়া দে” এসব স্লোগান দেন।

এসময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রের যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোর আনজুম সাম্য বলেন, রেজিস্ট্রার একজন সাম্রাজ্যবাদী কলোনিয়ালিস্ট। আমরা কলোনিয়ালিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। মেরুদণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। আমরা এরপর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে, তার জন্য দায়ী থাকতবে প্রশাসন।

শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহৃবায়ক মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী দোসর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এখনো সক্রিয়। আমরা মনে করেছিলাম, ৫ আগস্টের পরে তারা আর থাকবে না। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়েছেন। এই রেজিস্ট্রার হলেন সেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসরের একজন। ভালোই ভালো নিজের ডিপার্টমেন্টে ফিরে যান। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। ফ্যাসিস্টদের কোন প্রশাসনিক জায়গায় থাকতে দিবো না।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, কারণ সব জায়গায় অযোগ্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
একজন একাডেমিক ব্যক্তিকে কেন রেজিস্ট্রারের জায়গায় বসানো হয়েছে, সেই উত্তর দিতে হবে।
ক্ষমতা যদি আপনার হাতিয়ার হয়, তাহলে ছাত্ররা ইতিহাসের আশ্রয় নিবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে হবে। অব্যাহতি দেয়া না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।