নিউজ ডেস্ক:
রাজস্ব আহরণ ও করসেবায় দেশের মানুষকে নতুন করে উদ্বুদ্ধ করতে তিন ‘স’ নীতির কথা জানালেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। তিন ‘স’ হলো- সক্রিয়, সচেতন ও সজাগ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা পূর্ব) অফিস পরিদর্শন ও রাজস্ব পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তিন ‘স’ এর কথা জানান। সভায় রাজস্ব আহরণ ও কার্যক্রমের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ঢাকা পূর্ব কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান।
প্রথম ‘স’ এর কার্যক্রম তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘তিনটি ‘স’ এর মধ্যে প্রথম ‘স’ হলো এনবিআরের সকল কার্যক্রমে ‘সক্রিয়’ থাকা। এ সক্রিয় থাকার তিনটি মাত্রা থাকবে। এর মধ্যে রাজস্ব আহরণ, অংশীজনদের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা, ভ্যাট নেট সম্প্রসারণ ও ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় থাকা।
দ্বিতীয় ‘স’ হলো ‘সচেতন’, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এর তিনটি মাত্রার মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ব্যবসা, শিল্প ও বিনিয়োগকারী অংশীজনদের চাহিদা, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। কাউকে অসুবিধায় ফেলা যাবে না বা অসুবিধায় থাকলে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা দেওয়া যাবে না। এনবিআর সকল অংশীজনকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
তৃতীয় ‘স ’হচ্ছে ‘সজাগ’। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সক্রিয়তা ও সচেতনতা এনবিআরের ফুলেল চরিত্র বহন করে। আর তৃতীয় ‘স’ সজাগ বাঘের চরিত্র বহন করে। কেউ যাতে রাজস্ব ফাঁকি না দেয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যেন ব্যবসা, শিল্প ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে অহেতুক হয়রানি না করেন বা কোনভাবেই বিড়ম্বনা তৈরি না করেন সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কেউ যাতে এনবিআরের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রচার করতে না পারে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
নজিবুর রহমান বলেন, ঢাকার চারটি কমিশনারেটের মধ্যে ঢাকা পূর্বের রাজস্ব আহরণ প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশ হয়েছে। এটা প্রশংসনীয়। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে প্রচুর রাজস্ব প্রয়োজন। সে রাজস্ব আহরণে এনবিআর সারা দেশে প্রশংসিত হচ্ছে।
এনবিআরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সাফল্য, চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল হিসেবে কী করছেন, সেসব বিষয় প্রতিবেদন আকারে এনবিআরে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেন চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশের সব ভ্যাট অফিসের মধ্যে সাজানো-গোছানো, হরেক রকম ফুলের নামে কক্ষগুলোর নামকরণ, ভ্যাট অফিসের মধ্যে প্রথমবারের মত সাক্ষাৎ প্রার্থীদের জন্য ই-টোকেন পদ্ধতি চালুর প্রশংসা করেন চেয়ারম্যান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এনবিআর সদস্য বারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজাউল হাসান, সুলতান মো. ইকবাল ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক বেলাল উদ্দিন।