চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালের অদূরে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিপুল (১৯) নামে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও ইজিবাইকচালকসহ আরও দুজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৮টার পৌর এলাকার ঝিনাইদাহ বাস টার্মিনালের অদূরে মুন্না মোড়ে এদূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিপুল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের বুড়োপাড়া গ্রামের আয়তালের ছেলে।
আহতরা হলেন, নিহত বিপুলের বড় ভাই বিপ্লব হোসেন। (২১), একই গ্রামের বোরহানের ছেলে ওয়াসিম (২১)। সদর উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের কাউসারের ছেলে ইজিবাইকচালক অহিম উদ্দিন (৪২), জাফরপুর গ্রামের সুজনের ছেলে সিহাব (১৯) ও গাড়াবাড়িয়া গ্রামের নজরুলের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৪৮)। আহতদের মধ্যে বিপ্লব ও ওয়াসিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া ইজিবাইকচালকসহ দুজন যাত্রী সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ইফতার পর বিপুল, তার ভাই বিপ্লব ও একই এলাকার ওয়াসিম এক মোটরসাইকেলযোগে ঈদের কেনাকাটা করতে চুয়াডাঙ্গায় আসছিলেন। পথের মধ্যে মুন্না মোড়ে পৌছালে একটি ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক বিপুল মারা যায়। আহত হয় মোটরসাইকেলের থাকা দুজনসহ ইজিবাইকচালক ও দুজন যাত্রী। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, মৃত. অবস্থায় বিপুলকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এরমধ্যে আহত চারজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে গেছেন বলে জেনেছি।