স্টাফ (রিপোর্টার)-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক মাসের ব্যবধানের প্রায়ই অর্ধ শতাধিক চুরির ঘটনায় জড়িত আন্ত:জেলা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান গোপালনগর গ্রামের চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আন্ত:জেলা চোরচক্রের হোতা সাগর মিয়াকে(২৫) দু’সহযোগীসহ অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরণের স্বস্তি বিরাজ করছে।
বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি চুরির মামলা করা হয়েছে। চোরচক্রের হোতা সাগর মিয়ার অন্য সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিয়ে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়,জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামের কিরন হোসেনের ছেলে সাগর মিয়া একজন মাদকাসক্ত এবং দীর্ঘদিন ধরে ছোটখাটো চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। কিন্তু সাগর মিয়া গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং একের পর এক চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতে থাকে।
সাগর মিয়া বিগত ৩-৪ মাসের ব্যবধানে তার সহযোগীদের নিয়ে এলাকার ছোট বড় মিলে প্রায় অর্ধ শতাধিক স্থানে চুরির ঘটনার ঘটায়।
এ অবস্থায় এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য বার বার পুলিশের স্মরণাপন্ন হলেও পুলিশ তাদেরকে নানা অজুহাতে ইতিপুর্বে গ্রেফতার করেনি।
সাগর মিয়া তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে থানার আশেপাশের বসবাসকারীদের বাড়ীতে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটাতে থাকে। সম্প্রতি তারা জীবননগর থানার পিছনে সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রিল ভেঙ্গে মনিটর চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় একই মহল্লার অর্থাৎ গোপালনগর গ্রামের জনৈক মুকুল মিয়ার বাড়ীতে সোমবার দিনগত মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্যাসের চুলা,বৈদ্যুতিক মটর,গ্যাস সিলিন্ডার,ডিজিটাল মাপ যন্ত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীর মালিকের লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে এবং আটক করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ সাগর মিয়াসহ একই গ্রামের শরিফুলের ছেলে আসিফ(২২)এবং পিন্টু মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন রিন্টু বাবুদেরকে(২২) বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করেন।
এলাকার একাধিক ভুক্তভোগী ক্ষোভের সাথে জানান,সাগর মিয়াসহ তার গ্যাঙের সদস্যদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে কোন কাজ হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ফলে চুরির কোন ঘটনায় মানুষ আর থানায় কোন অভিযোগ করতে চায় না।
গোপালনগর গ্রামে রাঙা মিয়া ও রাজনগর গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন,থানার আশেপাশে ইদানিং মাদকাসক্তের পাশাপাশি চোরের উপদ্রুপ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরি কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর কষ্ট বিরাজ করছে।
তারা এখন নিজেরাই চোর ধরে পুলিশে দিতে বাধ্য হচ্ছ। গ্রেফতারকৃত চোর সাগর মিয়ার গ্যাঙের আরো কিছু সদস্য রয়েছে,তাদেরকে আটক করতে না পারলে চুরি থামবে না। থানা পুলিশের নিকট জোর দাবি এলাকার সমস্ত চোর ও মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে আইনে সোপর্দ করতে হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(অপারেশন) আতিয়ার রহমান বলেন,গ্রেফতারকৃত সাগর মিয়া,আসিফ ও বাবুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোন ঘটনা সরাসরি স্বীকার না করে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ব্যাপক জিজ্ঞাসা করে তাদের নিকট থেকে এলাকার কয়েকটি চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা আংশিক স্বীকার করে।