আল মাহমুদ দোলন , পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা পৌর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে ফেরার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ঘেরাও এর ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বোদা পৌর বাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় আব্বাস মসলা ঘর ও আইয়ুব মসলা ঘর থেকে মোট ২১৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। সেই সাথে একজনকে দুই হাজার ও অপরজনকে আড়াই হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, অভিযান শেষে জব্দকৃত পলিথিন ভ্যানে তুলে ফিরে আসার সময় হঠাৎ করে একদল ব্যক্তি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ঘিরে ফেলে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সাথেসাথে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনিও সেখানে উপস্থিত হন। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হওয়ার পর অনেকে ‘ভুয়া- ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট’ বলে চিৎকার করতে থাকে। সেই সাথে জব্দকৃত পলিথিন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিছুক্ষণ পরে ভূমি অফিসের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী আল আমিন লাবুকে আটক করে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ উঠে। এক পর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় হাসান নামে একজনকে আটক করে এসি ল্যাণ্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় হাসানকে ছাড়িয়ে নিতে অন্তত দেড় থেকে দুইশ লোক উপজেলা ভূমি অফিসের দিকে তেড়ে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তাৎক্ষণিক অফিসের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১২ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় হাসানকে।
এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম।
এইদিকে এমন উদ্বেগজনক ঘটনায় সার্বিক বিষয়ে জানতে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এই মোবাইল কোর্টের বিষয়ে আসলে আমার জানা নেই। এই কারণে আমি বক্তব্যও দিতে পারছি না। তিনি এসি ল্যাণ্ডের বক্তব্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।



















































