মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুর, ২৭ এপ্রিল ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে রেখা খাতুন (১৪) নামের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ওই গ্রামের সুবারুল ইসলামের মেয়ে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষপান করলে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রীটি বর্তমানে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে,রেখা খাতুন ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮মশ্রেনির ছাত্রী ও লক্ষিনারায়ানপুর ধলা গ্রামের দিন মজুর সুবারুল ইসলামেরমেয়ে। বাবা ও মায়ের পছন্দেরছেলে একই এলাকার কাশেমেরছেলে বকুলহোসেন। তাই বাবা ও মায়ের ইচ্ছা ছিল স্কুলে পড়া অবস্থায় তাঁর নিজের পছন্দেরছেলের সাথে বিয়েদেবে। কিন্তু বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ও মেয়ে দুজনে বাধা হয়ে দ্বারায়। তাই এ মাসের ১২ তারিখের দিকে রাতের আধারে অতিগোপনে অন্যের বাড়িতে বিয়েদেয়। প্রথমে পরিবারের চাপের মুখে বিয়ে করলেও মানতে পারেনিরেখা। তাই বাবা মায়ের উপর প্রতিবাদ জানিয়ে বিষপান করে আতœহত্যারচেষ্টা করে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিষ দিন মজুর সুবারুল ইসলামের ঘরে রাখা ছিলো। সেই বিষ পান করে রেখা। গতকাল সকালে বাড়িরলোকজনটেরপেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। বর্তমানে গাংনী হাসপাতালেই চিকিৎসধীন রয়েছেরেখা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন জানান, ছেলে এবং কারোরি বয়স হয়নি। আমাদের ফাকি দিয়ে বিয়ে দিয়েছে। তবে মেয়েটি বাল্য বিবাহর কারণে বিষপান করেনি। পছন্দের ছেলে না হওয়ায় বিষপান।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, আমাকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও স্থানীয়কোন জনগণ এবিষয়েকেউকোন কিছু জানায়নি। আগামীকাল ইউনিয়ন পরিষদের বৈঠক আছে আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যর কাছে শুনে ব্যবস্থানেব।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাকে কোন মাধ্যম জানায়নি। যেকেউ অভিযোগ করলেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবাহী কর্মকর্তা এসএম জামাল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে আমি খোজ খবর নিয়ে যর্থাযথ ব্যবস্থা নেব।