সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। গুজব ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদ জানান নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে ফায়দা নিতে চায় বিএনপি। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী জামায়াত শিবির তাণ্ডব চালায় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, দেশজুড়ে যে হত্যাযজ্ঞ, সন্ত্রাস ও ধ্বংসলীলা হয়েছে সেগুলোকে থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বারদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই।
এসময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে, তিনি ২০১৮ সালে কোটা বাতিলও করেছেন। পরবর্তীতে তাদের সকল দাবির সঙ্গে একমত। তাহলে এই হত্যাযজ্ঞ কেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত, যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নেয়নি,যারা ৭৫ সালে বঙ্বন্ধুকে হত্যা করেছে। যারা ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলাকারী তারা একযোগ হয়ে বাংলাদেশ যে বিশ্বের রোল মডেল সেই মডেলকে পর্যুদস্ত করতে চায়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ক্যারেলাইন নকস এমপিসহ প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এমপি সশরীরে সমাবেশে এসে আয়োজকদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। ব্রিটিশ মন্ত্রী ও এমপিরা জানান, বাংলাদেশের চলমান বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত আছেন এবং গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এসময় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এমপি পাউলট্টি হ্যামিলটন বলেন, আমাকে আজ যেই চিঠি দেয়া হয়েছে, আমি নিশ্চিত করব এটি আমার কার্যালয় থেকে নেতৃত্বের কাছে যেন পৌঁছায়। সেখানে প্রেসিডেন্ট যে উদ্বেগের কথা বললেন সেটিও উল্লেখ থাকবে এবং ব্রিটিশ সরকার যেন এই চিঠি দেখে, তা নিশ্চিত করবো।
বিক্ষোভ সমাবেশে সহস্রাধিক নেতাকর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।