শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

সর্বজনীন পেনশন বন্ধ হচ্ছে না, সুবিধা নিয়ে যা জানা গেল

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:০৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি নিয়ে চিন্তায় গ্রাহকরা। এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৪ লাখ মানুষ যুক্ত আছেন এই কর্মসূচিতে। দেশ ছেড়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই কর্মসূচির গ্রাহকরা সর্বজনীন পেনশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। তবে বন্ধ হচ্ছে না সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। বরং এই কর্মসূচির গতি বাড়াতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সর্বজনীন পেনশন বন্ধে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষার প্রশ্নে এ কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। এটি বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রচলিত স্কিমগুলোর বিষয়ে আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যারা নিবন্ধিত হয়েছেন বা ভবিষ্যতে যুক্ত হবেন, তাদের কী করে আরো বেশি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় তা দেখা হচ্ছে।’

যদিও এর আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্টরা।

সেখান থেকেও গ্রাহকদের পেনশন কর্মসূচি বন্ধ না হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ১৪ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের একটি সভা হয়। গ্রাহকের মনের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষ যেন কাজ করে যায় তা বলা হয় সেই সভায়। সেই সাথে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য “প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও” নিতে বলা হয়েছিল। সর্বজনীন পেনশন মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পেনশন কর্মসূচি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সরকার পরিবর্তন হোক বা পরিস্থিতি যা-ই হোক, জনস্বার্থে এই কর্মসূচি বহাল থাকবে বলেও বার্তা থাকবে গ্রাহকদের জন্য।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ‘সমতা’, ‘সুরক্ষা’, ‘প্রগতি’ ও ‘প্রবাস’—এই চারটি স্কিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ও প্রবাসে থাকা নাগরিকদের মধ্যে মোট তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩০৬ জন এই কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে নতুন যুক্ত হওয়া নাগরিকের সংখ্যা খুবই কম।

পেনশন তহবিলে তাদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এই অর্থ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে মুনাফাসহ তহবিলের মোট পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

সর্বজনীন পেনশন বন্ধ হচ্ছে না, সুবিধা নিয়ে যা জানা গেল

আপডেট সময় : ০৭:২০:০৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি নিয়ে চিন্তায় গ্রাহকরা। এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৪ লাখ মানুষ যুক্ত আছেন এই কর্মসূচিতে। দেশ ছেড়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই কর্মসূচির গ্রাহকরা সর্বজনীন পেনশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। তবে বন্ধ হচ্ছে না সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। বরং এই কর্মসূচির গতি বাড়াতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সর্বজনীন পেনশন বন্ধে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষার প্রশ্নে এ কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। এটি বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রচলিত স্কিমগুলোর বিষয়ে আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যারা নিবন্ধিত হয়েছেন বা ভবিষ্যতে যুক্ত হবেন, তাদের কী করে আরো বেশি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় তা দেখা হচ্ছে।’

যদিও এর আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্টরা।

সেখান থেকেও গ্রাহকদের পেনশন কর্মসূচি বন্ধ না হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ১৪ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের একটি সভা হয়। গ্রাহকের মনের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষ যেন কাজ করে যায় তা বলা হয় সেই সভায়। সেই সাথে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য “প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও” নিতে বলা হয়েছিল। সর্বজনীন পেনশন মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পেনশন কর্মসূচি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সরকার পরিবর্তন হোক বা পরিস্থিতি যা-ই হোক, জনস্বার্থে এই কর্মসূচি বহাল থাকবে বলেও বার্তা থাকবে গ্রাহকদের জন্য।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ‘সমতা’, ‘সুরক্ষা’, ‘প্রগতি’ ও ‘প্রবাস’—এই চারটি স্কিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ও প্রবাসে থাকা নাগরিকদের মধ্যে মোট তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩০৬ জন এই কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে নতুন যুক্ত হওয়া নাগরিকের সংখ্যা খুবই কম।

পেনশন তহবিলে তাদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এই অর্থ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে মুনাফাসহ তহবিলের মোট পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ কোটি টাকা।