শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ ৬ই রজব হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রঃ) এর ওফাত বার্ষিকী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

আরফান আলী:

ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী সুলতানুল আউলিয়া হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১১৩৮ ইংরেজি- ৫৩৭ হিজরীতে মধ্য এশিয়ায় খোরাসানের অন্তর্গত সিস্তান রাজ্যের সানজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দীন, মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহেনুর। পিতার দিকে তিনি শেরে খোদা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর চতুর্দশতম এবং মাতার দিকে তিনি খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর দ্বাদশতম বংশধর।

মাতৃকুল হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু ও পিতৃকুল হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত যাওয়ায় তিনি বংশে হাসানী-হোসাইনী আওলাদে রাসুলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার অশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী। তদুপরি তিনি উভয়দিকে অলিকুল সম্রাট গাউছুল আজম হযরত বড়পীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বংশধর। পিতৃকূল ও মাতৃকূল উভয় দিক থেকে। বস্তুত এসব কারণেই তিনি আল্লাহ প্রদত্ত অলৌকিক শক্তি বলে কামালিয়াতের উচ্চতম শিখরে আরোহণ করেছিলেন। পরে স্বপরিবারে খোরাসান শহরে (বর্তমান আফগানিস্তান) হিজরত করেন। মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে বাবা – মা উভয়কেই হারান।

ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬৩৩ হিজরীর ৫ই রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ই রজব সুবহে সাদেকের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ওফাতের সাথে সাথে তাঁর পবিত্র কপাল শরীফ-এ স্পষ্টভাবে আরবীতে স্বর্ণোজ্বল নুরানী অক্ষরে লিখা হয়ে যায় “হাযা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ” অর্থাৎ ইনি আল্লাহর বন্ধু, আল্লাহর মুহব্বতেই তিনি বিসাল লাভ করেছেন। গরীবে নেওয়াজের বড় সাহেবজাদা হযরত খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

তার ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন পীরের মাজারেও ওরশ শরীফ পালিত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

আজ ৬ই রজব হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রঃ) এর ওফাত বার্ষিকী

আপডেট সময় : ১২:০৫:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

আরফান আলী:

ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী সুলতানুল আউলিয়া হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১১৩৮ ইংরেজি- ৫৩৭ হিজরীতে মধ্য এশিয়ায় খোরাসানের অন্তর্গত সিস্তান রাজ্যের সানজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দীন, মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহেনুর। পিতার দিকে তিনি শেরে খোদা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর চতুর্দশতম এবং মাতার দিকে তিনি খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর দ্বাদশতম বংশধর।

মাতৃকুল হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু ও পিতৃকুল হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত যাওয়ায় তিনি বংশে হাসানী-হোসাইনী আওলাদে রাসুলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার অশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী। তদুপরি তিনি উভয়দিকে অলিকুল সম্রাট গাউছুল আজম হযরত বড়পীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বংশধর। পিতৃকূল ও মাতৃকূল উভয় দিক থেকে। বস্তুত এসব কারণেই তিনি আল্লাহ প্রদত্ত অলৌকিক শক্তি বলে কামালিয়াতের উচ্চতম শিখরে আরোহণ করেছিলেন। পরে স্বপরিবারে খোরাসান শহরে (বর্তমান আফগানিস্তান) হিজরত করেন। মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে বাবা – মা উভয়কেই হারান।

ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ ওলী হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬৩৩ হিজরীর ৫ই রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ই রজব সুবহে সাদেকের সময় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ওফাতের সাথে সাথে তাঁর পবিত্র কপাল শরীফ-এ স্পষ্টভাবে আরবীতে স্বর্ণোজ্বল নুরানী অক্ষরে লিখা হয়ে যায় “হাযা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ” অর্থাৎ ইনি আল্লাহর বন্ধু, আল্লাহর মুহব্বতেই তিনি বিসাল লাভ করেছেন। গরীবে নেওয়াজের বড় সাহেবজাদা হযরত খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

তার ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন পীরের মাজারেও ওরশ শরীফ পালিত হয়।