পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রায় ১০ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্পের নির্মাণকাজে দুর্নীতির অভিযোগে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, তদন্তে উঠে এসেছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইনক.-কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বনানী থানায় ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১4 সালে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট (এফআরটি) দাখিল করা হয়।

মামলার এজাহারে সাতজনের নাম ছিল, যার মধ্যে সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তারা এবং আরও কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রায় দেড় বছরের তদন্ত শেষে দুদক মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেয়। তবে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য ফের কমিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীও ছিলেন। তবে তাদেরও মামলার এফআরটি-র মাধ্যমে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান জানিয়েছিলেন, তদন্তে আরও তথ্য পাওয়ার আশায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে মামলার দায়ের করা হয়েছিল।

ট্যাগস :

পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রায় ১০ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্পের নির্মাণকাজে দুর্নীতির অভিযোগে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, তদন্তে উঠে এসেছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইনক.-কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বনানী থানায় ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১4 সালে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট (এফআরটি) দাখিল করা হয়।

মামলার এজাহারে সাতজনের নাম ছিল, যার মধ্যে সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তারা এবং আরও কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রায় দেড় বছরের তদন্ত শেষে দুদক মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেয়। তবে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য ফের কমিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীও ছিলেন। তবে তাদেরও মামলার এফআরটি-র মাধ্যমে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান জানিয়েছিলেন, তদন্তে আরও তথ্য পাওয়ার আশায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে মামলার দায়ের করা হয়েছিল।