নিউজ ডেস্ক:
নৌবাহিনীতে দু’টি সাবমেরিন যোগ হওয়ায় আধুনিকতা ও উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের নেভাল বার্থে আধুনিক দুই সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’র কমিশনিংকালে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নৌবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির বহুমুখি উদ্যোগ নিয়ে চলেছে।
এ সময় সাবমেরিন দু’টির আধুনিকায়ন, কারিদের প্রশিক্ষণ ও হস্তান্তর-পরবর্তী কারিগরি সহায়তার জন্য চীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
নৌবাহিনীর ‘নবযাত্রা আর জয়যাত্রা’
নৌবাহিনীর জন্য এক হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায় দুটি সাবমেরিন কেনার জন্য চীনের সঙ্গে ২০১৪ সালে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সাবমেরিন দুটি চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সী ট্রায়ালের পর চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের তত্ত্বাবধানে ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সুসজ্জিত সাবমেরিনগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল।