নিয়ম না মেনে উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দিলেন চালকরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

সংস্কার শেষে ১৪ মাস পর গতকাল রোববার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কালুরঘাট সেতু। তবে চালকরা নিয়ম নীতি না মেনে একমুখী সেতুর উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দেওয়ায় প্রথম দিনেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

সেতু পারাপারকারী মো. আব্দুল মালেক বলেন, কালুরঘাট সেতুটি একমুখী সেতু। একদিক থেকে আসলে অপরদিকে গাড়ি অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সব জেনেও উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে যানজট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয় হচ্ছে। সেতু উন্মুক্ত করার প্রথম দিনেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করেছেন চালকরা। এভাবে প্রতিদিন চলতে থাকলে ভোগান্তি দিন দিন বাড়বে।

আবুল কালাম নামে একজন বলেন, তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য সেতুর উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দিচ্ছে। এতে করে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে আরো দেরি হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

চালকরা বলেন, সেতুর সম্মুখে নিয়ম–শৃঙ্খলার জন্য গেটে কোনো মানুষ না থাকায় যার যেমন ইচ্ছে তেমন করছে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এসব কারণে আমরা সংসারের খরচও তুলতে পারছি না।

অপরদিকে কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে কোনো লাইট না থাকায় রাতের বেলায় আতঙ্কের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীরা বলেন, অন্ধকারের কারণে দুর্ঘটনা বা জিনিসপত্র ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কা আছে। বোয়ালখালী অংশে দুটি লাইট দিলে আশা করি যাত্রীদের আতঙ্কটা কেটে যাবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলার জন্য সেতুর দুই দিকে রেলওয়ের মানুষ রয়েছে। কিন্তু কোনো চালক তাদের কথা মানছে না, তাই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানে আরো লোক নিয়োগ দেব। যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি টোলের আওতায় আনা হবে। বোয়ালখালী অংশে বাড়তি দুটি লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ম না মেনে উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দিলেন চালকরা

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সংস্কার শেষে ১৪ মাস পর গতকাল রোববার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কালুরঘাট সেতু। তবে চালকরা নিয়ম নীতি না মেনে একমুখী সেতুর উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দেওয়ায় প্রথম দিনেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

সেতু পারাপারকারী মো. আব্দুল মালেক বলেন, কালুরঘাট সেতুটি একমুখী সেতু। একদিক থেকে আসলে অপরদিকে গাড়ি অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সব জেনেও উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে যানজট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয় হচ্ছে। সেতু উন্মুক্ত করার প্রথম দিনেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করেছেন চালকরা। এভাবে প্রতিদিন চলতে থাকলে ভোগান্তি দিন দিন বাড়বে।

আবুল কালাম নামে একজন বলেন, তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য সেতুর উভয় দিক থেকে গাড়ি তুলে দিচ্ছে। এতে করে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে আরো দেরি হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

চালকরা বলেন, সেতুর সম্মুখে নিয়ম–শৃঙ্খলার জন্য গেটে কোনো মানুষ না থাকায় যার যেমন ইচ্ছে তেমন করছে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এসব কারণে আমরা সংসারের খরচও তুলতে পারছি না।

অপরদিকে কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে কোনো লাইট না থাকায় রাতের বেলায় আতঙ্কের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীরা বলেন, অন্ধকারের কারণে দুর্ঘটনা বা জিনিসপত্র ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কা আছে। বোয়ালখালী অংশে দুটি লাইট দিলে আশা করি যাত্রীদের আতঙ্কটা কেটে যাবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলার জন্য সেতুর দুই দিকে রেলওয়ের মানুষ রয়েছে। কিন্তু কোনো চালক তাদের কথা মানছে না, তাই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানে আরো লোক নিয়োগ দেব। যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি টোলের আওতায় আনা হবে। বোয়ালখালী অংশে বাড়তি দুটি লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।