1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
নীলকরদের নির্মম অত্যাচারের সাক্ষী | Nilkontho
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শুক্রবার | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
বীরগঞ্জে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত বীরগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মমতার ক্ষোভ ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকার শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক সাড়ে তিন হাজার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা চাঁদাবাজ-দখলবাজ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার, বিএনপি নেতার ঘোষণা গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসর ৬৫ বছর করার দাবির চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, শাহবাগ থানায় প্রশাসনের মামলা ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত বিষয়ে যা জানালো জার্মানি সোহেল তাজকে যে গানটি শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের ডাকবাংলা অংশের বেহাল দশা দর্শনায় মৎস্য চাষ বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত আলমডাঙ্গার নবাগত ইউএনও মেহেদী হাসানের যোগদান অসহায় কিশোরী মায়ের আকুতি পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরো এক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারক মানিক গ্রেপ্তার

নীলকরদের নির্মম অত্যাচারের সাক্ষী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিট্রিশ বেনিয়া নীলকর কর্তৃক এ দেশের সাধারণ কৃষকদের টর্চার সেল খ্যাত নীলকুঠিগুলোর অধিকাংশই সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরে কপোতাক্ষ তীরের নীলকুঠি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সরকারিভাবে সংরক্ষণের জোর দাবি সচেতন মহলের।

জানা গেছে, ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্যে এ দেশে ইংরেজ শাসনের পতন হয়। ভাগ্য বদলের জন্য শত শত সাহেব এ দেশে আসে। তাদের একটা বড় অংশই ছিল নীলের ব্যবসায়ী নামে। এমনই এক প্রাচীন স্থাপত্য নীলকরদের স্মৃতি বিজড়িত ‘নীলকুঠি’ মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কাছে কাছারি বাড়ি হিসেবে পরিচিত এই নীলকুঠি। খালিশপুর বাজারের পশ্চিমপাশে ৯ একরের বেশি জায়গা নিয়ে নীলকুঠি বাড়িটি অবস্থিত। দালানটি আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল অনেকেরই এমনটিই ধারণা করেন।

এ কুঠি বাড়ি নির্মাণের মূল উদ্যেশ্য ছিল পূর্ববাংলার কৃষকদের নীল উৎপাদনে উৎসাহী করা ও নীলচাষ দেখাশোনা করা। ইংরেজ মি. ডেভরেল এ কুটিবাড়ি থেকে এই অঞ্চলের নীলচাষ পরিচালনা করতেন। এই কুঠিরেই কিছু কক্ষ নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত। পরবর্তীতে ইংরেজরা উপ-মহাদেশে থেকে বিতাড়িত হলে কুঠির ভবনটি সিও অফিস হিসেবে ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৮৩-৮৪ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল। বর্তমানে কুঠিরটি জরাজীর্ণ, সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দাঁরপ্রান্তে অবস্থান করছে।
দক্ষিণমুখী এ ভবনের দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট ও উচ্চতা ৩০ ফুট। দক্ষিণ দিকে রয়েছে প্রশস্ত বারান্দা। ১২ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়। চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি করা হয় ভবনটি। কুঠিরের নিচতলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন। বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০-১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদারও জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে স্থাপনাটি। কৃত্রিম নীল আবিষ্কারের পর নীল ব্যবসায় ভাঁটা দেখা দেয়। সাহেবগণ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে থাকে। এ দেশীয় জমিদাররা কুঠিগুলো কিনে তাদের কাচারি স্থাপন করতে থাকে। খালিশপুর কুঠি নীল চাষের শেষ দিকে স্থাপন করা হয়েছিল। সাহেবদের কাছ থেকে কুঠিটি কিনে নেন পাবনার এক জমিদার। তিনি তার জমিদারির কাচারি স্থাপন করেন এখানে।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জমিদার দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। একজন নায়েব দেখাশুনা করতেন। ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলে নায়েবও এ কুঠি ছেড়ে চলে যান। ১৪ একর জমির ওপর স্থাপিত নীলকুঠি সরকারে খাসে নেওয়া হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দ্বিতল এ কুঠিটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দিকে যেতে বসেছে।
স্থানীয়রা জানান, খালিশপুর নীলকুঠির সঙ্গে নীলকর সাহেবদের প্রজাপীড়নের ভয়ঙ্কর ইতিহাস জড়িত আছে। ১৮০০ সালের প্রথম দিকে বিলেত থেকে ব্রিটিশরা এসে কপোতাক্ষ তীরে খালিশপুরে কুঠি স্থাপন করে নীল চাষ শুরু করে। এ কুঠিটির দোতলা ভবন এখনো খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তথ্যমতে, ঝিনাইদহ যশোর অঞ্চলে ৬৭টি নীলকুঠি ছিল। অন্যগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনোটির চিহ্ন নেই। প্রতিটি নীলকুঠিতে অত্যাচারের স্মৃতি আকড়ে রেখেছে। নীলের ব্যবসায় মন্দা ও চারিদিকে নীল বিদ্রোহের আগুন জ¦লে উঠলে নীলকর সাহেবরা এখান থেকে চলে যেতে শুরু করে। খালিশপুরের কুঠিয়াল সাহেব কুঠি ও অন্যান্য সম্পত্তি মেদিনীপুরের এক জমিদারের কাছে বিক্রি করে বিলেতে চলে যান। জমিদার এখানে কাচারি স্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জমিদার এই দেশত্যাগ করেন। তবে কাচারির কাজ চলত। সরকার জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করলে কুঠি ও জমি সরকারের মালিকানায় আসে। কুঠিবাড়ির চারদিকে ছিল আম ও লিচুবাগান। পুরোনো গাছপালা নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কারের অভাবে কুঠির অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ঐতিহাসিক এই নীলকুঠি ভবনটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জোর দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৮
  • ১২:০৩
  • ৪:২৫
  • ৬:১২
  • ৭:২৬
  • ৫:৫০

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০