শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে! Logo রোহিঙ্গা সংকট ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডব্লিউএফপি প্রধানের বৈঠক Logo খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ! Logo সামনের দিনে অনেক বিপদ আসবে: মির্জা ফখরুল Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত বেড়ে ১৬ Logo সিভাসু অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কচুয়ার সন্তান মোহাম্মদ  গোলাম মাওলা শাহীন Logo জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের এক উজ্জল নক্ষত্র কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব Logo চাঁদপুরে মায়ের মামলায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা তানহা ও তার স্বামী আটক Logo মানবদূত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালিত “ন্যায্য মূল্যে সহস্রাধিক ক্রেতার পণ্য ক্রয়

আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

শুকনা খাবারের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী একটি ফল খেজুর, যা অল্প কয়েকটি খেলেই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত হয়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে খেজুর হলো সুপার ফুড। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। তাই স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা তাঁদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় খেজুর রাখতে ভালোবাসেন।

পৃথিবীতে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর আছে। তার মধ্যে উত্কৃষ্ট খেজুর হিসেবে মদিনার আজওয়াকে বিবেচনা করা হয়। কেননা নবীজি (সা.) এই খেজুরকে জান্নাতের ফল আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র হাদিস শরিফে এই ফলটিকে জান্নাতের ফল আখ্যায়িত করা হয়েছে।

রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। এর উপকারিতা অপরিসীম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উত্কৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)

বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে থাকা প্রচুর পটাসিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। খেজুর খেলে ধমনি পরিষ্কার থাকে। রক্ত চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি হয় না। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

রাসুল (সা.) তাঁর এক সাহাবিকে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন।

এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখলে আমি তাঁর শৈত্য আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৫)

এই হাদিস দ্বারা আরেকটি জিনিস স্পষ্ট হয় যে খেজুর থেকে কাঙ্ক্ষিত উপকার পেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। খাবারের মাত্রা ও পদ্ধতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঠিক করে দেবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে!

আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

আপডেট সময় : ০৭:২৩:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শুকনা খাবারের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী একটি ফল খেজুর, যা অল্প কয়েকটি খেলেই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত হয়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে খেজুর হলো সুপার ফুড। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। তাই স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা তাঁদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় খেজুর রাখতে ভালোবাসেন।

পৃথিবীতে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর আছে। তার মধ্যে উত্কৃষ্ট খেজুর হিসেবে মদিনার আজওয়াকে বিবেচনা করা হয়। কেননা নবীজি (সা.) এই খেজুরকে জান্নাতের ফল আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র হাদিস শরিফে এই ফলটিকে জান্নাতের ফল আখ্যায়িত করা হয়েছে।

রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। এর উপকারিতা অপরিসীম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উত্কৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)

বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে থাকা প্রচুর পটাসিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। খেজুর খেলে ধমনি পরিষ্কার থাকে। রক্ত চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি হয় না। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

রাসুল (সা.) তাঁর এক সাহাবিকে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন।

এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখলে আমি তাঁর শৈত্য আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৫)

এই হাদিস দ্বারা আরেকটি জিনিস স্পষ্ট হয় যে খেজুর থেকে কাঙ্ক্ষিত উপকার পেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। খাবারের মাত্রা ও পদ্ধতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঠিক করে দেবেন।