শিরোনাম :
Logo ঝালকাঠিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে জেএসডির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্ত্রী, অতিষ্ঠ হয়ে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা স্বামীর Logo গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ! Logo আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ‘চিরকালের জন্য’ যুদ্ধ বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ট্রাম্প Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন : সিইসি Logo সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে Logo পলাশবাড়ীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। Logo কচুয়ায় অবৈধ রিং জাল উদ্ধার ও পুড়িয়ে ধ্বংস Logo বীরগঞ্জে উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo বীরগঞ্জে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃ-ত্যু

শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতির আখড়া

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে ২৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। তারা অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্য, জাল জোচ্চুরিসহ একাধিক অভিযোগ তোলে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাঠ করে শোনান কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা ও রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপার আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সোনা শিকদার ও তার ছেলেদের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম কলেজটিতে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে। তাদের ভয়ে কোনো শিক্ষক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্য কলেজে চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ব্যাকডেটে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ টিউশন ফির ১২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন।

আরও অভিযোগ করা হয়, করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন মিলে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।

২০২৩ সালের ২৩ জুন বৈধ নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় পত্রিকা, মূল কপি টেম্পারিংসহ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ২৯ জন গোপনে নিয়োগ দিয়ে ৬ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। ফলে প্রায় ১৪ থেকে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজটি অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের নিজে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল পেয়ে পাশ করেন। তিনি অনার্সে না পড়েই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়ে কলেজটি লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে দুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে জেএসডির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতির আখড়া

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে ২৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। তারা অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্য, জাল জোচ্চুরিসহ একাধিক অভিযোগ তোলে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাঠ করে শোনান কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা ও রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপার আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সোনা শিকদার ও তার ছেলেদের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম কলেজটিতে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে। তাদের ভয়ে কোনো শিক্ষক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্য কলেজে চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ব্যাকডেটে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ টিউশন ফির ১২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন।

আরও অভিযোগ করা হয়, করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন মিলে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।

২০২৩ সালের ২৩ জুন বৈধ নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় পত্রিকা, মূল কপি টেম্পারিংসহ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ২৯ জন গোপনে নিয়োগ দিয়ে ৬ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। ফলে প্রায় ১৪ থেকে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজটি অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের নিজে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল পেয়ে পাশ করেন। তিনি অনার্সে না পড়েই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়ে কলেজটি লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে দুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।