শিরোনাম :
Logo ইবি প্রক্টরের মেয়াদ বাড়লো আরও এক বছর Logo উপাচার্যের দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তিতে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo কয়রায় নৌবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেকপোস্ট Logo বালু খেকদের কবলে কয়রা নদী :ভাঙ্গনে ক্ষোভ বাড়ছে, ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের  Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন দাবা ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ Logo মতলব উত্তর সাদুল্লাপুর ও বাগানবাড়ি ইউনিয়নে জাকের পার্টির জনসভা Logo পলাশবাড়ীতে ব্রিজের নিচে মিললো ভাস্যমান মরদেহ Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ও সদর মডেল থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি Logo চাঁদপুরে এমআরপিসি কমিটির দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo “বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫”

শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতির আখড়া

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে ২৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। তারা অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্য, জাল জোচ্চুরিসহ একাধিক অভিযোগ তোলে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাঠ করে শোনান কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা ও রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপার আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সোনা শিকদার ও তার ছেলেদের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম কলেজটিতে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে। তাদের ভয়ে কোনো শিক্ষক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্য কলেজে চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ব্যাকডেটে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ টিউশন ফির ১২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন।

আরও অভিযোগ করা হয়, করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন মিলে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।

২০২৩ সালের ২৩ জুন বৈধ নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় পত্রিকা, মূল কপি টেম্পারিংসহ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ২৯ জন গোপনে নিয়োগ দিয়ে ৬ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। ফলে প্রায় ১৪ থেকে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজটি অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের নিজে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল পেয়ে পাশ করেন। তিনি অনার্সে না পড়েই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়ে কলেজটি লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে দুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি প্রক্টরের মেয়াদ বাড়লো আরও এক বছর

শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতির আখড়া

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে ২৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। তারা অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্য, জাল জোচ্চুরিসহ একাধিক অভিযোগ তোলে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাঠ করে শোনান কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক আবু হুরায়রা ও রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপার আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সোনা শিকদার ও তার ছেলেদের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম কলেজটিতে ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে। তাদের ভয়ে কোনো শিক্ষক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্য কলেজে চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ব্যাকডেটে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ টিউশন ফির ১২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন।

আরও অভিযোগ করা হয়, করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন মিলে লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।

২০২৩ সালের ২৩ জুন বৈধ নিয়োগ বোর্ডের জাতীয় পত্রিকা, মূল কপি টেম্পারিংসহ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ২৯ জন গোপনে নিয়োগ দিয়ে ৬ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। ফলে প্রায় ১৪ থেকে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজটি অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের নিজে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল পেয়ে পাশ করেন। তিনি অনার্সে না পড়েই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়ে কলেজটি লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ আ.খ.ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে দুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।