উখিয়ায় রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ ৮ জন আটক

0
47
নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদরাসায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার।

এর আগে শুক্রবার ভোরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জসিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।শনিবার সকালে শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার রাতভর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। তবে আটককৃতদের পরিচয় তিনি তাৎক্ষণিক জানাননি।

এপিবিএন অধিনায়ক আরো জানান, শুক্রবার মধ্য রাতে নিহত মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার ভোর রাতে বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালালে মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন। হামলাকারীদের হাত থেকে মসজিদে আশ্রয় নিয়েও তারা রেহাই পাননি। হামলাকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মসজিদে আশ্রয় নেয়া দুইজনকে হত্যা করে।

শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৪টার দিকে মাদরাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। হামলায় মাদরাসায় অবস্থানরত ৪ জন এফডিএমএন সদস্য মারা যান। উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২ জন মারা যান।

এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা মদুতুল উম্মা মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প এলাকায়ও একই সঙ্গে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।

এছাড়া গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরো এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে ১৪ এপিবিএন। তবে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ। মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় এর আগে আরো ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।