এমসি কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে আরেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষ‌ণের ঘটনায় করা মামলায় রাজন নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯।রোববার রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জ উপ‌জেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজন নয়া‌টিলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। ধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামিদের একজন তিনি। রাজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

র‌্যাব-৯ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনকে আত্মগোপনে সহায়তা করায় আইনুল নামে আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ৬ জন‌ গ্রেফতার হলো। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চারজন। তারেক ও মাসুম নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামি এখনও পলাতক।

গত শুক্রবারের ওই বর্বরোচিত ঘটনার পর ক্ষোভ, নিন্দা আর ধিক্কারে সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি সবার। বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের থাকতে দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় এক কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি হলো।

এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামির নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। নাম থাকা আসামিদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এমসি কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে আরেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষ‌ণের ঘটনায় করা মামলায় রাজন নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯।রোববার রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জ উপ‌জেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজন নয়া‌টিলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। ধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামিদের একজন তিনি। রাজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

র‌্যাব-৯ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনকে আত্মগোপনে সহায়তা করায় আইনুল নামে আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ৬ জন‌ গ্রেফতার হলো। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চারজন। তারেক ও মাসুম নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামি এখনও পলাতক।

গত শুক্রবারের ওই বর্বরোচিত ঘটনার পর ক্ষোভ, নিন্দা আর ধিক্কারে সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি সবার। বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের থাকতে দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় এক কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি হলো।

এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামির নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। নাম থাকা আসামিদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।