মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতেন প্রদীপ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কথিত বন্দুকযুদ্ধে সরকারি অস্ত্র তেমন ব্যবহার করতেন না টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতেন।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির সদস্যদের তিনি এ কথা বলেছেন। কমিটির সদস্যরা জানতে চেয়েছিলেন, আপনার সময়কালে ১০৬টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১৭৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এগুলোতে কি আপনি সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? প্রদীপ বলেছেন, বেশির ভাগই তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে। কমিটি জানতে চেয়েছিল, আপনি কতবার নিজে গুলি করেছেন, কী অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছেন? জবাবে প্রদীপ বলেছেন, তিনি ২০-৩০ বার গুলি করেছেন, ব্যক্তিগত অস্ত্র দিয়ে।

তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রদীপ তদন্ত কমিটিকে বলেন, ‘আমার সাড়ে সাত লাখ টাকা দামের একটি ওয়াল্টার পিস্তল আছে। আমার কাছে যেটা আরামদায়ক মনে হয়, আমি সেটা ব্যবহার করি। তা ছাড়া সরকারি কাজে ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার করা যায়।’ব্যক্তিগত অস্ত্রের গুলির হিসাব কীভাবে রাখতেন? কমিটির এ প্রশ্নের জবাবে প্রদীপ বলেন, জিডি করে নিজের পিস্তলের গুলির হিসাব রাখতেন।

কমিটি তাঁর কাছে জানতে চায়, আপনার নামে বরাদ্দ করা সরকারি অস্ত্র থেকে গত দেড় বছরে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। এর কারণ কী? প্রদীপের জবাব, সরকারি পিস্তল ‘তরাস’ তিনি দু-একবার ব্যবহার করেছেন। এই পিস্তল দিয়ে পাঁচটির মতো গুলি ছুড়েছেন।

প্রদীপের কাছে কমিটি জানতে চায়, আপনি কি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, নাকি অধীনস্থদের পেছনে থাকেন? জবাবে প্রদীপ বলেন, ‘আমি সামনে থেকেই পরিচালনা করি।’টেকনাফের লায়লা বেগমের বাড়ি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটা নাকি আপনার জলসাঘর? কেউ বলছেন বিকল্প থানা। সে ব্যাপারে আপনি কী জানেন? প্রদীপ বলেন, ‘আমি কখনো সেখানে যাইনি।’অভিযোগ আছে, আপনার সঙ্গে মেরিন ড্রাইভে ‘এনকাউন্টার’ বেশি হয়।

এর কারণ কী? প্রদীপ বলেন, মেরিন ড্রাইভে শুধু পুলিশ নয়, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গেও হয়।সামরিক বাহিনীর দুই কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ বলতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন, এটা কি সত্যি? প্রদীপ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আপনাকে স্যার বলতে হবে সেটা কোথায় লেখা আছে? এটা বলা ঠিক ছিল না। এ জন্য আমি অনুতপ্ত।’পরিদর্শক লিয়াকত আপনার বিচারে কেমন পুলিশ অফিসার? ওসি প্রদীপ বলেন, ‘মধ্যমানের অফিসার। লিয়াকত ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খায়। সে আমাকে না জানিয়ে এসপিকে ফোন দেয়।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতেন প্রদীপ

আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

কথিত বন্দুকযুদ্ধে সরকারি অস্ত্র তেমন ব্যবহার করতেন না টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতেন।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির সদস্যদের তিনি এ কথা বলেছেন। কমিটির সদস্যরা জানতে চেয়েছিলেন, আপনার সময়কালে ১০৬টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১৭৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এগুলোতে কি আপনি সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? প্রদীপ বলেছেন, বেশির ভাগই তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে। কমিটি জানতে চেয়েছিল, আপনি কতবার নিজে গুলি করেছেন, কী অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছেন? জবাবে প্রদীপ বলেছেন, তিনি ২০-৩০ বার গুলি করেছেন, ব্যক্তিগত অস্ত্র দিয়ে।

তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রদীপ তদন্ত কমিটিকে বলেন, ‘আমার সাড়ে সাত লাখ টাকা দামের একটি ওয়াল্টার পিস্তল আছে। আমার কাছে যেটা আরামদায়ক মনে হয়, আমি সেটা ব্যবহার করি। তা ছাড়া সরকারি কাজে ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার করা যায়।’ব্যক্তিগত অস্ত্রের গুলির হিসাব কীভাবে রাখতেন? কমিটির এ প্রশ্নের জবাবে প্রদীপ বলেন, জিডি করে নিজের পিস্তলের গুলির হিসাব রাখতেন।

কমিটি তাঁর কাছে জানতে চায়, আপনার নামে বরাদ্দ করা সরকারি অস্ত্র থেকে গত দেড় বছরে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। এর কারণ কী? প্রদীপের জবাব, সরকারি পিস্তল ‘তরাস’ তিনি দু-একবার ব্যবহার করেছেন। এই পিস্তল দিয়ে পাঁচটির মতো গুলি ছুড়েছেন।

প্রদীপের কাছে কমিটি জানতে চায়, আপনি কি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, নাকি অধীনস্থদের পেছনে থাকেন? জবাবে প্রদীপ বলেন, ‘আমি সামনে থেকেই পরিচালনা করি।’টেকনাফের লায়লা বেগমের বাড়ি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটা নাকি আপনার জলসাঘর? কেউ বলছেন বিকল্প থানা। সে ব্যাপারে আপনি কী জানেন? প্রদীপ বলেন, ‘আমি কখনো সেখানে যাইনি।’অভিযোগ আছে, আপনার সঙ্গে মেরিন ড্রাইভে ‘এনকাউন্টার’ বেশি হয়।

এর কারণ কী? প্রদীপ বলেন, মেরিন ড্রাইভে শুধু পুলিশ নয়, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গেও হয়।সামরিক বাহিনীর দুই কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ বলতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন, এটা কি সত্যি? প্রদীপ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আপনাকে স্যার বলতে হবে সেটা কোথায় লেখা আছে? এটা বলা ঠিক ছিল না। এ জন্য আমি অনুতপ্ত।’পরিদর্শক লিয়াকত আপনার বিচারে কেমন পুলিশ অফিসার? ওসি প্রদীপ বলেন, ‘মধ্যমানের অফিসার। লিয়াকত ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খায়। সে আমাকে না জানিয়ে এসপিকে ফোন দেয়।’