সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

বর্ণচোরা সেজে যারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:দলের ভিতরে বর্ণচোরা সেজে যারা অর্থসম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন, জনগণের বুকের গভীরে রয়েছে এর শেকড়। দলে এসে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ভাগ্য বদলাতে দেওয়া যাবে না। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের পেছনে রেখে, আওয়ামী লীগে আশ্রয়ী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীদের দলে আর সুযোগ নেই।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে সুযোগ দেয়নি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার মোটেই কার্পণ্য করে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেওয়া লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভেতর বর্ণচোরা হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, নিজের সহায় সম্পত্তির গোছানোর চেষ্টা করবে অনিয়ম করে। তাদের সর্তক করে দিচ্ছি এমন অপকর্ম আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের অর্জন নস্যাৎ হতে দিতে পারি না। দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই, তাদের নেই দলীয় পরিচয়। যারা অপরাধী, অপরাধীর অপরাধকেই বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কাজে অনিয়মসহ এবং স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম শুদ্ধি অভিযানের অংশ। অন্যান্য খাত বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।

বিএনপি সরকারে থেকে দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা নানা অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনর্বাসিত করেছিল তারা, তাদের মুখে অনিয়মের কথা বলা মানায় না। আমরা এখন জনগণকে বাঁচাবার লক্ষ্যে সর্বঠত্মক কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ জীবিকা নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে বেছে নিয়েছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সুচিন্তিত সহযোগিতা চায়। বিএনপি অসহায় জনগণের পাশে না থেকে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা অসহায়ত্ব তাদের চোখে পড়ে না। মানুষের কল্যাণে সরকারের নিরলস প্রয়াস তারা দেখতে পায় না। সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকাতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া চিরাচরিত মিথ্যাচারে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি। জনগণ আর এখন মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রাজনীতি হবে মানুষকে বাঁচানোর বৈশ্বিক সংকট করোনা প্রতিরোধ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বে, তাদের মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) কথায়-কথায় সরকারের মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করেন। আমি বলব আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত নেতৃত্বেকে পদত্যাগ করার উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন, আপনাদের সময়কালে এমন একটি উদহারণ দেখাতে পারবেন?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

বর্ণচোরা সেজে যারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৬:০৪:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

নিউজ ডেস্ক:দলের ভিতরে বর্ণচোরা সেজে যারা অর্থসম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন, জনগণের বুকের গভীরে রয়েছে এর শেকড়। দলে এসে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ভাগ্য বদলাতে দেওয়া যাবে না। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের পেছনে রেখে, আওয়ামী লীগে আশ্রয়ী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীদের দলে আর সুযোগ নেই।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে সুযোগ দেয়নি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার মোটেই কার্পণ্য করে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেওয়া লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভেতর বর্ণচোরা হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, নিজের সহায় সম্পত্তির গোছানোর চেষ্টা করবে অনিয়ম করে। তাদের সর্তক করে দিচ্ছি এমন অপকর্ম আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের অর্জন নস্যাৎ হতে দিতে পারি না। দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই, তাদের নেই দলীয় পরিচয়। যারা অপরাধী, অপরাধীর অপরাধকেই বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কাজে অনিয়মসহ এবং স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম শুদ্ধি অভিযানের অংশ। অন্যান্য খাত বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।

বিএনপি সরকারে থেকে দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা নানা অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনর্বাসিত করেছিল তারা, তাদের মুখে অনিয়মের কথা বলা মানায় না। আমরা এখন জনগণকে বাঁচাবার লক্ষ্যে সর্বঠত্মক কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ জীবিকা নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে বেছে নিয়েছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সুচিন্তিত সহযোগিতা চায়। বিএনপি অসহায় জনগণের পাশে না থেকে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা অসহায়ত্ব তাদের চোখে পড়ে না। মানুষের কল্যাণে সরকারের নিরলস প্রয়াস তারা দেখতে পায় না। সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকাতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া চিরাচরিত মিথ্যাচারে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি। জনগণ আর এখন মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রাজনীতি হবে মানুষকে বাঁচানোর বৈশ্বিক সংকট করোনা প্রতিরোধ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বে, তাদের মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) কথায়-কথায় সরকারের মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করেন। আমি বলব আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত নেতৃত্বেকে পদত্যাগ করার উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন, আপনাদের সময়কালে এমন একটি উদহারণ দেখাতে পারবেন?