নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্দ্রজানী গ্রামে সুখী খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী সবুজ ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুখী খাতুন ওই গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী ও শৈলকুপা উপজেলার হারুনদিয়া গ্রামের গ্রামের নুর আলীর মেয়ে। নিহত সুখী খাতুনের বাবা নুর আলী জানান, চার বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে সবুজের সঙ্গে সুখীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুখীর গর্ভে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকে সুখীর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন সবুজ। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার সকালে স্বামী সবুজ ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাই রশি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সবুজ ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তে যদি হত্যার রিপোর্ট আসে, তবে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।