চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভার শুরুতে বিগত সভার কার্যবিবরণী পড়ে শোনান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন।চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভার শুরুতে বিগত সভার কার্যবিবরণী পড়ে শোনান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন।এরপর আলোচ্য বিষয়ের ওপর বক্তব্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কোচিং পদ্ধতি বা বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। তবে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর ২ শ টাকা সর্বোচ্চ সম্মানীতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারেন নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কিছু নিয়মকানুন আছে, যা মানতে হবে। এরপরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এ নিয়ম মানছেন না বলে স্বীকার করেন তিনি।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, অতিরিক্ত কোচিং না করে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘শহরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও পরিবহনগুলোর বেপরোয়া গতির কারণে এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশে চলাফেরা করছি আমরা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়াও বেড়েছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও ভ্যানের সংখ্যা। এ কারণে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শহরের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কটি এক সময় একমুখী চলাচল ব্যবস্থা চালু করা হলেও তা মানছে না কেউ।’এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘শহরের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের পৌর মেয়র ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে হাসপাতাল সড়কে একমুখী চলাচল ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব কাজে প্রয়োজন সবার সচেতনতা। পথচারী ও যানবাহন চালকেরা সচেতন হলে তবেই সড়কের বিশৃঙ্খলা কাটবে।’ বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুক্তগীন বলেন, বিদ্যুৎ-চুরি মোকাবিলায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা প্রয়োজন। তাঁর এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন সভা প্রধান। এ ছাড়াও জেলার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্যে পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একসময় ভয়াবহ ছিল। সেই অবস্থা কাটিয়ে আজ আমরা অনেকটা শান্তিতে বসবাস করছি। সম্প্রতি শহরে বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশার। আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর নিস্তার আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা ব্র্যাকের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সভায় অংশ নেন জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।