নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহে পৃথক তিনটি মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম, দ্বিতীয় ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক মামলায় এ রায় প্রদান করেন। দ-িত ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল ম-লের ছেলে নাজিম উদ্দিন, মায়াধরপুর গ্রামের মজিবর ম-লের ছেলে আসমত আলী, শ্রীপুর গ্রামের মৃত হাজারী ম-লের ছেলে তক্কেল ম-ল, কুটিদুর্গাপুর গ্রামের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম ভুটান, মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ীয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন, মফিজ উদ্দিনের মেয়ে রাবেয়া খাতুন ও খলিলুর রহমানের স্ত্রী মজিদা খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে আব্দুল গণিকে বোমা মেরে হত্যা করেন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা। এ ঘটনায় পরদিন নিহত ব্যক্তির ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। ওই বছরেই পুলিশ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত নাজিম উদ্দিন, আসমত, তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভুটানকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন, জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। এ মামলায় তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভুটান পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বাজার থেকে ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মাদক মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আমেনা খাতুন, মজিদা খাতুন ও রাবেয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। এ মামলার অপর আসামি তারা মিয়া বর্তমানে মৃত ও রাবেয়া খাতুন এবং আমেনা খাতুন পলাতক রয়েছেন।