নিউজ ডেস্ক:দর্শনা ছয়ঘরিয়ার বটতলা বাজার থেকে একটি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া ছাগল ঝাঝাডাঙ্গার এক ছাগল ব্যাপারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন ওই ছাগলের মালিক। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় দুই চোরকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোরের দিকে ছয়ঘরিয়া গ্রামের বটতলাপাড়ার ওয়াব আলীর ছেলে ইদ্রিস আলীর বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছাগলের মালিক ইদ্রিস ছাগলের খোঁজ করে একপর্যায়ে পাশের গ্রাম ঝাঝাডাঙ্গা মাদরাসাপাড়ার ছাগল ব্যাপারী ও চোরের থোলেনদার সুলতানের ছেলে মালেকের বাড়ি থেকে ছাগলটি উদ্ধার করেন। এ সময় মালেকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে মালেক জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে ছয়ঘরিয়া গ্রামের বাগানপাড়ার জহিরুদ্দিনের ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত একাধিক মামলার আসামি বিল্লাল ও একইপাড়ার শরিউত উল্লাহর ছেলে খাজা তাঁর বাড়িতে ছাগল দিয়ে যান। পরে ছাগল মালিক গ্রামের ইউপি সদস্য ও মাতবরদের কাছে বিচার দিলে গতকাল আসরের পর ছয়ঘরিয়া গ্রামের বটতলায় সালিস সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সালিশ সভায় ব্যাপারী মালেক ও চোর খাজা হাজির হলে সবার উপস্থিতিতে চোর ও ব্যাপারীর মধ্যে বাধে হট্টগোল। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ও মাতবরদের অনুমতিতে প্রধান চোর বিল্লালকে ডাকতে পাঠান তাঁর বাড়িতে। এ সময় বিল্লাল ও তাঁর স্ত্রী ডাকতে যাওয়া কয়েকজনের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিস সভায় আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি এড়াতে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সেলিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় গ্রামবাসী চোর খাজা ও ব্যাপারী মালেককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গ্রামবাসী জানায়, আলোচিত চোর ও পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত সদস্য বিল্লাল প্রায়ই গ্রামে ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে গরু-ছাগল চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। তাঁকে আটক না করলে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকবে বলে জানান গ্রামবাসী।