চুয়াডাঙ্গা সদরে দুদিনের ব্যবধানে দুই গ্রামে ডাকাতি, আতঙ্ক
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরে দুই দিনের ব্যবধানে দুই গ্রামে ধারাবাহিকভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে বিরাজ করছে ডাকাত-আতঙ্ক।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত মুনছুর আলীর ছেলে জামাল হোসেনের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দেয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে গৃহকর্তার ছেলে হাফিজুলের নগদ ১৫ হাজার টাকা, কানের ১ জোড়া সোনার দুল, ১টি চেইন, হাতের ১ জোড়া বালা ও ১ জোড়া রুপার নূপুর। এ ছাড়া মেয়ের ঘর থেকে ১ জোড়া সোনার কানের দুল, ১ জোড়া পায়ের নূপুর, ৪টি মোবাইল ফোন ও টর্চ লাইট লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।
এদিকে একই ডাকাত দল রাত দুইটার দিকে একই গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত ওমর আলীর ছেলে দুধ ব্যবসায়ী শুকুর আলীর বাড়িতে হানা দিয়ে ছাগল বিক্রি ও ব্যবসার ১১ হাজার টাকা, ১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও ৩টি টর্চ লাইট লুট করে। এ ছাড়া তারা পাশের বাড়ির ইছাহাক ড্রাইভারের ছেলে রফিকুলের ঘর থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও আলামিনের ঘর থেকে নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মালামাল লুট করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আ. হাকিম জানান, ‘ডাকাতি হওয়া বাড়িতে আমিসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের অফিসারেরা পরিদর্শন করেছি।’
প্রসঙ্গত, এ ঘটনার দুই দিন আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে একই ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া ঈদগাহপাড়ার দুখুর ছেলে ই¯্রাফিলের বাড়িতে মুখোশ পরিহৃত ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল হানা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে হাত বেঁধে নগদ ২৩ হাজার টাকা, ১টি সোনার চেইন, ৩টি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে। এদিকে দুই দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার আকন্দবাড়িয়া ও রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে ডাকাত-আতঙ্ক।