:
জীবননগরের হাসাদহে ভ- ফকিরের আস্তানায় অনৈতিক কার্যকলাপ
নিউজ ডেস্ক:জীবননগরের হাসাদহে ভ- ফকিরের আস্তানায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে এক ভক্তের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হাসাদহ গ্রামের ভ- ফকির আফসারের আস্তানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মহেশপুর উপজেলার নওদাগাহ জলিলপুর গ্রামের হবুদাসের ছেলে গোরদা (৩৭) হাসাদহ নতুনপাড়ার মৃত আবুল মন্ডলের ছেলে ভ- ফকির আফসারের আস্তানায় অনৈতিক কাজের জন্য আসে। সেখানে গুরুবাবা আফসারের নিকট থেকে যৌন উত্তেজনার ট্যাবলেট নিয়ে খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে গোরদা তাঁর বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লাশটি একটি ভ্যানে করে আস্তানা থেকে হাসাদহ বাজারের জনতা ব্যাংকের সামনে রেখে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে বাজারের দোকানদাররা বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ দ্রুত এসে লাশটি উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
এদিকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় জীবননগর থানার পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, হাসাদহ গ্রামে আফসার ফকির, মতিয়ার ফকির ও শুকুর ফকিরের আস্তানায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মেয়েদের ভাড়া করে নিয়ে এসে তাঁদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এখানে কিছু স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের আনাগোনার ফলে ফকিরের আস্তানার ভ- ফকিরেরা দাপটের সঙ্গে অপকর্ম করে চলেছেন। প্রতিবাদ করলেই বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করা হয়। গ্রামের মধ্যে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম হওয়ার ফলে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, হাসাদহ গ্রামে যেসব আস্তানা রয়েছে, সব কটিতে প্রকাশ্যে অনৈতিক কর্মকা- হয়। সম্প্রতি কয়েক মাস আগেও এক আস্তানা থেকে মহেশপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তাসহ পীর-মাকে জনতা আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। তা ছাড়া আস্তানার নামে অনৈতিক কর্মকা- আর মাদকের আখড়ার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, হাসাদহ গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।