চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে ভোরবেলা ট্রাকের ধাক্কায় নিহতের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় শামসুর রহমান শান্তি নিহতের এক সপ্তাহ পর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার এক স্বজন। মামলায় বিভিন্ন এলাকার ৯ জনকে আসামী করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে মজিবুল হক বাদি হয়ে এ মামলা দায়েরে করেন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার মুস্তাফিজুর রহমান (৩০) নামে একজনকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। আটক মুস্তাফিজুর রহমান দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
কোর্টে দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিজ স্ত্রীর একাধিক পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়াসহ শ্যালককে বিদেশে পাঠানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার ও নিজ স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রাখা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত না দেওয়ার উদ্দেশ্যে শামসুর রহমান শান্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। শান্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে আহত করে ভালাইপুর মোড়ের অদূরে তাকে ফেলে রাখা হয়। এসময় তার মোটরসাইকেলটিও ভাঙ্গা হয়। পরে দুর্ঘটনার নাটক সাজানো হয়। পরে আহত শান্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শান্তিকে দাফনের জন্য বাড়িতে নিলে লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করাসহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে মজিবুল হক এ মামলার বাদি হয়ে নিহত শান্তির স্ত্রী ও শ্যালকসহ বিভিন্ন এলাকার ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে কোর্ট আসামীদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে সদর থানাকে হস্তান্তর করে। পরে সদর থানা পুলিশ গতকাল দামুড়হুদা উপজেলার রাম নগর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে নিহত শান্তির শ্যালককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দামুড়হুদা রামনগর শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে কুকুরের ধাওয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের মাখালডাঙ্গা গ্রামের শামসুর রহমান শান্তি নিহত হয়। পরে লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিলে মাথার আঘাত দেখে তারা সন্দেহ করেন শান্তিকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ সে সময় নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে তার নিজ গ্রামে শান্তির দাফনকার্য় সম্পন্ন করা হয়।