সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মিত রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রাথমিকভাবে ভবন ভাঙার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছে। সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।

ভবনটি কীভাবে ভাঙা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে এসেছেন তারা। ভবনটিতে এখনো দু’একটি অফিস রয়েছে। তাদের মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এর পর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য লোক ডাকা হয়েছে।সম্পূর্ণ ভবনটি আজই ভাঙা হবে কি না, জানতে চাইলে খন্দকার অলিউর রহমান তা নিশ্চিত করতে পারেননি।তিনি বলেন, ‘এই যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা ভবন ভাঙার কার্যক্রমেরই অংশ।’কীভাবে এই ভবন ভাঙা হচ্ছে, সে বিষয়ে অলিউর বলেন, ‘ভবন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাঙা হবে। সেটা ডিনামাইট ব্যবহার বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে হতে পারে।’‘বিজিএমইএ ভবন’ অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল।গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবনটি দুটি বেসমেন্টসহ ১৬তলা। বিজিএমইএ ব্যবহার করে চারটি তলা। বাকি জায়গা দুটি ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালে বিজিএমইএকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে ভবন ভাঙার জন্য বলা হয়। এর পর রিভিউ আবেদনটিও খারিজ হয়। পরবর্তী সময় আদালতের কাছে সময় চেয়ে বারবার আবেদন করে সংগঠনটি। সবশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল এক বছরের জন্য সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেয়া হয়। আর সেই জমির ওপর ২০১৭ সালে ১৩তলা বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ভবনটির পুরো কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। তবে কয়েকটি তলার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ও হাইকোর্টের নির্দেশের বাধ্যবাধকতায় চলতি মাসেই বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় উত্তরায় স্থানান্তরিত হয়।সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিল আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামছে রাজউক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু

আপডেট সময় : ১২:৫১:৫৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মিত রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রাথমিকভাবে ভবন ভাঙার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছে। সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।

ভবনটি কীভাবে ভাঙা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে এসেছেন তারা। ভবনটিতে এখনো দু’একটি অফিস রয়েছে। তাদের মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এর পর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য লোক ডাকা হয়েছে।সম্পূর্ণ ভবনটি আজই ভাঙা হবে কি না, জানতে চাইলে খন্দকার অলিউর রহমান তা নিশ্চিত করতে পারেননি।তিনি বলেন, ‘এই যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা ভবন ভাঙার কার্যক্রমেরই অংশ।’কীভাবে এই ভবন ভাঙা হচ্ছে, সে বিষয়ে অলিউর বলেন, ‘ভবন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাঙা হবে। সেটা ডিনামাইট ব্যবহার বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে হতে পারে।’‘বিজিএমইএ ভবন’ অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল।গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবনটি দুটি বেসমেন্টসহ ১৬তলা। বিজিএমইএ ব্যবহার করে চারটি তলা। বাকি জায়গা দুটি ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালে বিজিএমইএকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে ভবন ভাঙার জন্য বলা হয়। এর পর রিভিউ আবেদনটিও খারিজ হয়। পরবর্তী সময় আদালতের কাছে সময় চেয়ে বারবার আবেদন করে সংগঠনটি। সবশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল এক বছরের জন্য সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেয়া হয়। আর সেই জমির ওপর ২০১৭ সালে ১৩তলা বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ভবনটির পুরো কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। তবে কয়েকটি তলার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ও হাইকোর্টের নির্দেশের বাধ্যবাধকতায় চলতি মাসেই বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় উত্তরায় স্থানান্তরিত হয়।সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিল আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামছে রাজউক।