বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

আবেগ দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায়না : ফখরুল

  • আপডেট সময় : ১০:০৫:১৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া বিএনপির ভুল না কি সঠিক সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশেই বিএনপি নির্বাচনে গেছে এবং নির্বাচনের পরেও তার নির্দেশেই ঐক্য ধরে রাখতে কাজ করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আবেগ দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায়না।’

বিএনপির প্রাক্তন নেতা কেএম ওবায়দুল কাদেরের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই সভার আয়োজন করে ‘ওবায়দুল কাদের স্মৃতি সংসদ’

।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকে আমরা একটি হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। বেছে নিয়েছিলাম আমাদের গণতন্ত্রের মাতা (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) তারই নির্দেশে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমাদের সাধারণ সভায় তিনি পরিস্কার করে বলে গিয়েছিলেন যে, দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্য গড়ে তুলতে এবং এই ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে। ঐক্য নিয়ে লড়াই করতে হবে।

আমরা বিশ্বাস করি এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম লড়াই করতে হলে সমস্ত জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জনগণের ঐক্য এবং সম্মিলতি প্রয়াস ছাড়া এই ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরাজিত করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, আন্দোলন সংগ্রামে জয়ী হতে সমগ্র মানুষকে এক করতে হবে। আমরা নির্বাচনে যাওয়ার পূর্বে আমাদের নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, নির্বাচনে যেতে হবে এবং জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এমনকি নির্বাচনের পরে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমরা দেখেছি নেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরে যখন আমরা কর্মসূচি দিয়েছি দেখেছি কতজন এসেছেন কতজন আসেননি। আমরা তো দেখেছি কারা কারা কর্মসূচি থেকে আস্তে আস্তে চলে গেছেন। আমরা তো দেখেছি এই নির্বাচনের মধ্যে কারা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছেন। সুতরাং শুধু কথা বলে একটি বদ্ধ আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় এসব কথা বলে শত্রুকে পরাজিত করতে পারবো না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে জনগণের ঐক্যকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্য দিয়ে জনগণ যেভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে, সেই ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, দেশনেত্রীর নির্দেশে এই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করবো এবং এই শক্তিকে পরাজিত করবো। ঐক্য ভেঙে গেলে আর কোনোদিন এই অপশক্তিকে সরাতে পারবো না। সেজন্য ছোটখাটো সমস্যাকে বড় করে না দেখে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

বিএনপিকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে দলটির এই মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি কোনোদিন নিঃশেষ হবে না। বিএনপির রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। এর আগে অনেকে বিএনপিকে ভাঙতে চেয়েছিলো। এরশাদ সরকার ভাঙতে চেষ্টা করেছে। এর পরে আওয়ামী লীগও ভাঙতে চেয়েছিলো কিন্তু পারেনি। আবারো এখন ভাঙতে চেষ্টা করছে। কিন্তু একজন কর্মীকেও সরিয়ে নিতে পারেনি। এখন সময় কঠিন। এই কঠিন সময়ে অতিক্রম করতে হবে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সাহস নিয়ে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের এক পর্যায়ে দর্শক সারি থেকে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিচ্ছিন্নভাবে প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় মির্জা ফখরুল তাদের মঞ্চে এসে প্রশ্ন করতে বলেন। দর্শক সারি থেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি এইচএম রাশেদ মঞ্চের কাছে এসে জানতে চান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশেষ যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়নি কেন? এ সময় ফখরুল বলেন, ‘কে বলেছে আপনাকে এই কথা। অবশ্যই মুক্তি চাওয়া হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি টিএস গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতাদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বক্তব্য রাখেন।

রাইজিংবিডি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ

আবেগ দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায়না : ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:০৫:১৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া বিএনপির ভুল না কি সঠিক সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশেই বিএনপি নির্বাচনে গেছে এবং নির্বাচনের পরেও তার নির্দেশেই ঐক্য ধরে রাখতে কাজ করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আবেগ দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায়না।’

বিএনপির প্রাক্তন নেতা কেএম ওবায়দুল কাদেরের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই সভার আয়োজন করে ‘ওবায়দুল কাদের স্মৃতি সংসদ’

।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকে আমরা একটি হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। বেছে নিয়েছিলাম আমাদের গণতন্ত্রের মাতা (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) তারই নির্দেশে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমাদের সাধারণ সভায় তিনি পরিস্কার করে বলে গিয়েছিলেন যে, দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্য গড়ে তুলতে এবং এই ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে। ঐক্য নিয়ে লড়াই করতে হবে।

আমরা বিশ্বাস করি এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম লড়াই করতে হলে সমস্ত জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জনগণের ঐক্য এবং সম্মিলতি প্রয়াস ছাড়া এই ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরাজিত করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, আন্দোলন সংগ্রামে জয়ী হতে সমগ্র মানুষকে এক করতে হবে। আমরা নির্বাচনে যাওয়ার পূর্বে আমাদের নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, নির্বাচনে যেতে হবে এবং জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এমনকি নির্বাচনের পরে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমরা দেখেছি নেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরে যখন আমরা কর্মসূচি দিয়েছি দেখেছি কতজন এসেছেন কতজন আসেননি। আমরা তো দেখেছি কারা কারা কর্মসূচি থেকে আস্তে আস্তে চলে গেছেন। আমরা তো দেখেছি এই নির্বাচনের মধ্যে কারা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছেন। সুতরাং শুধু কথা বলে একটি বদ্ধ আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় এসব কথা বলে শত্রুকে পরাজিত করতে পারবো না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে জনগণের ঐক্যকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্য দিয়ে জনগণ যেভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে, সেই ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, দেশনেত্রীর নির্দেশে এই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করবো এবং এই শক্তিকে পরাজিত করবো। ঐক্য ভেঙে গেলে আর কোনোদিন এই অপশক্তিকে সরাতে পারবো না। সেজন্য ছোটখাটো সমস্যাকে বড় করে না দেখে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

বিএনপিকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে দলটির এই মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি কোনোদিন নিঃশেষ হবে না। বিএনপির রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। এর আগে অনেকে বিএনপিকে ভাঙতে চেয়েছিলো। এরশাদ সরকার ভাঙতে চেষ্টা করেছে। এর পরে আওয়ামী লীগও ভাঙতে চেয়েছিলো কিন্তু পারেনি। আবারো এখন ভাঙতে চেষ্টা করছে। কিন্তু একজন কর্মীকেও সরিয়ে নিতে পারেনি। এখন সময় কঠিন। এই কঠিন সময়ে অতিক্রম করতে হবে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সাহস নিয়ে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের এক পর্যায়ে দর্শক সারি থেকে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিচ্ছিন্নভাবে প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় মির্জা ফখরুল তাদের মঞ্চে এসে প্রশ্ন করতে বলেন। দর্শক সারি থেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি এইচএম রাশেদ মঞ্চের কাছে এসে জানতে চান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশেষ যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়নি কেন? এ সময় ফখরুল বলেন, ‘কে বলেছে আপনাকে এই কথা। অবশ্যই মুক্তি চাওয়া হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি টিএস গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতাদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বক্তব্য রাখেন।

রাইজিংবিডি