শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ Logo ইবিতে দুর্গাপূজার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo কয়রা হরিণের মাংস উদ্ধার Logo শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিংবডি পরিচিতি ও মতবিনিময়ে ভরপুর ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস Logo খুবিতে সেমিনার: ‘উত্তরণে বাংলাদেশ- শাসনব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং নীতি সংস্কার’ Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা বাদশা আটক : অন্তরালে বিরোধের জের

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:১৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ মার্চ ২০১৯
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টায় অভিযুক্ত বাদশাকে আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর মা নাসিমা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে ধর্ষণের ঘটনার আসল তথ্য পাওয়া যাবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার আনিসুর রহমানের শিশু কন্যা গত শুক্রবার দুপুরে হাঁসের খাবারের জন্য মাঠের মধ্যে ঘাস আনতে যায়। শিশু কন্যার সাথে ছিলো তার ছোট ভাই। ওই সময় ঔৎ পেতে থাকা একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে বাদশা (৩৩) ফুঁসলিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ধর্ষণের সময় শিশু কন্যা চিৎকার করতে থাকলে তার হাত-পা বেধে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় বাদশা। শিশু কন্যার ছোট ভাই বাড়ি ফিরে তার মা নাসিমার নিকট বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দেখে শিশু কন্যা হাত-পা বাধা অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে আছে। শিশু কন্যাকে প্রথমে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এদিকে, প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মূল তথ্য বের করার প্রক্রিয়া চলছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে মামলায় অভিযুক্ত বাদশা দাবি করেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গত কয়েক বছর যাবৎ কালিদাসপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় আমি বাড়ির পাশে অবস্থান করছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি এক পাড়ায় আর ওই বাচ্চার বাড়ি এক পাড়ায়। কোনও ভাবে এই ধরণের নিকৃষ্ট কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ বাদশার পরিবারের লোকজনের দাবি, ধর্ষণের ঘটনা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো নাটক। পূর্ব শত্রুতার কারণেই বাদশাকে ধর্ষণ মামলায় জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিনগত (শুক্রবার) রাতেই ৫০ হাজার টাকা দিলেই থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যেতো বাদশা। আমরা ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি। তাই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

আলমডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা বাদশা আটক : অন্তরালে বিরোধের জের

আপডেট সময় : ১১:৪০:১৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ মার্চ ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টায় অভিযুক্ত বাদশাকে আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর মা নাসিমা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে ধর্ষণের ঘটনার আসল তথ্য পাওয়া যাবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার আনিসুর রহমানের শিশু কন্যা গত শুক্রবার দুপুরে হাঁসের খাবারের জন্য মাঠের মধ্যে ঘাস আনতে যায়। শিশু কন্যার সাথে ছিলো তার ছোট ভাই। ওই সময় ঔৎ পেতে থাকা একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে বাদশা (৩৩) ফুঁসলিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ধর্ষণের সময় শিশু কন্যা চিৎকার করতে থাকলে তার হাত-পা বেধে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় বাদশা। শিশু কন্যার ছোট ভাই বাড়ি ফিরে তার মা নাসিমার নিকট বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দেখে শিশু কন্যা হাত-পা বাধা অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে আছে। শিশু কন্যাকে প্রথমে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এদিকে, প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মূল তথ্য বের করার প্রক্রিয়া চলছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে মামলায় অভিযুক্ত বাদশা দাবি করেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গত কয়েক বছর যাবৎ কালিদাসপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় আমি বাড়ির পাশে অবস্থান করছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি এক পাড়ায় আর ওই বাচ্চার বাড়ি এক পাড়ায়। কোনও ভাবে এই ধরণের নিকৃষ্ট কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ বাদশার পরিবারের লোকজনের দাবি, ধর্ষণের ঘটনা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো নাটক। পূর্ব শত্রুতার কারণেই বাদশাকে ধর্ষণ মামলায় জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিনগত (শুক্রবার) রাতেই ৫০ হাজার টাকা দিলেই থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যেতো বাদশা। আমরা ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি। তাই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।’