নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকাসহ আশপাশ অঞ্চলে আবারও বেড়েছে চুরির। সক্রিয় হয়েছে চোর সিন্ডিকেট। বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে নাইডগার্ডের ভূমিকা। এমনকি পুলিশও চোর আটকে সফল অভিযান পরিচালনায় বার বার ব্যর্থ হচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। এদিকে গত শুক্রবার দিনগত গতকাল শনিবার ভোররাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি রেলগেইট মোড়ে অবস্থিত ‘নিউ শাপলা ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড মোবাইল সার্ভিসিং’ সেন্টারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে৷এ ঘটনায় চোরেরা নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
দোকান মালিক এরশাদ সাংবাদিকদের জানায়, সকালে দোকানে এসে দেখি সব কিছু এলোমেলো। ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ব্যাটারি, মেমোরি কার্ড, হেড ফোনসহ বিভিন্ন লোকের দেয়া সার্ভিসিংয়ের ১৩টি মোবাইল ফোন লুট হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, রাতে দোকান পাহারার জন্য নাইটগার্ডকে প্রতিমাসে টাকা দেওয়া হয়। তারপরেও কেমন করে এই চুরি হলো সেটাই ভাবছি। এছাড়া পুলিশও থাকে ডিউটিতে তারপরেও দোকানের টিন কেটে চুরির ঘটনায় আশ্চর্য হতে হয়।
এলাকাবাসীর অনেকে বলেন, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এমন জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটবে৷ তাও আবার টিন কেটে। যেখানে নাইট গার্ড, রেলওয়ে গেটের নিকট পুলিশ এবং গেটম্যান থাকে। তাইলে কি রাতে সবাই ঘুমাই?
জানতে চাইলে নাইট গার্ড বলেন, আমি ঠিক মতো ডিউটি করছিলাম। আমি টেরও পাইনি কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটলো।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেলগাছি রেলগেটে এক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে৷ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেননি দোকান মালিক।



















































